পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । 8 \5) ১৮৬৩ সালে কেশবচন্দ্রের চেষ্টায় অন্তঃপুরে স্ত্রীশিক্ষা-বিস্তারের উদ্দেশ্যে “ব্ৰাহ্মবন্ধুসভা” নামে আর একটি সভা স্থাপিত হয়। এই সময় মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথের অর্থসাহায্যে, কেশবচন্দ্রের সম্পাদকতায়, “ইণ্ডিয়ান মিরার” নামে ইংরাজী সাপ্তাহিক পত্রিকা প্ৰকাশিত হয়। ইহা পরে দৈনিকে পরিণত হইয়াছিল। ব্যারিষ্টার মনোমোহন ঘোষ প্রভৃতির প্রবন্ধে এই পত্রিক সমৃদ্ধ হইত। মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ কেশবচন্দ্ৰকে ব্ৰাহ্মসমাজের সম্পাদক করেন । পরে কেশবের বক্তৃতা ও উপদেশের ওজস্বিনী শক্তিতে বহু লোককে মুগ্ধ ও আকৃষ্ট হইতে দেখিয়া মহর্ষি তাহাকে আচাৰ্য্য-পদ ও “ব্ৰহ্মানন্দ” উপাধি প্ৰদান করেন । আচাৰ্য্যপদ-গ্ৰহণের দিন কেশবচন্দ্ৰ সস্ত্রীক সমাজে গমন করেন । এই জন্য র্তাহার জ্যেষ্ঠতাত ও জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা কেশবচন্দ্ৰকে গৃহ ও পরিবার হইতে বহিস্কৃত করিয়া দেন। তিনি কিছু দিন সন্ত্ৰীক মহৰ্ষির গৃহে পুত্রের মৃত্যুম্ন অবস্থান করেন। ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারী কেশবচন্দ্ৰ মান্দ্ৰাজে উপনীত হইয়া বজ্ৰনিৰ্যোষে জ্ঞানপ্রবাহিণী বক্তৃতার স্রোতে দেশীয় ও ইংরাজগণকে মুগ্ধ করিলেন। ৫ই মার্চ বোম্বাইয়ে পহুছিয়া, বক্তৃতা-প্রভাবে সাধারণের শ্রদ্ধা, সংবাদপত্রের উচ্চ-প্ৰশংসা ও গভর্ণর বাহাদুরের বন্ধুত্ব লাভ করিলেন। মাদ্রাজ ও বোম্বাইয়ে দুইটি ব্ৰাহ্মসমাজ সংস্থাপিত হইল। ব্রাহ্মণ সমাজের প্রচারকগণ ভারতের নানা স্থানে পরিভ্রমণ করিয়া ধৰ্ম্মপ্রচারে প্রবৃত্ত হইয়া, সাৰ্ব্বজনীন সৌভ্রাতৃবন্ধনে ভারতের বিভিন্ন জাতিকে আবদ্ধ করিয়া, একধৰ্ম্মী করিতে লাগিলেন। উপবীত-ত্যাগী না হইলে কেহ উপাচার্যের পদে ব্ৰতী হইতে পারি। বেন না, কেশবচন্দ্র এই মত প্রচার করিলে, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথের সহিত