পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 S ভারত-প্ৰতিভা তাহার মতবিরোধ ঘটে। ১৮৬৫ খৃষ্টাব্দে কেশবচন্দ্র, প্রতাপচন্দ্র, বিজয়কৃষ্ণ, যদুনাথ প্রভৃতি উৎসাহী ব্ৰাহ্মযুবকগণকে লইয়া, আদি-ব্ৰাহ্মসমাজ ত্যাগ করিয়া, “ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ” নামে নূতন সভা প্রতিষ্ঠিত করেন। কেশবচন্দ্ৰ। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দে উপাসনা-মন্দির-নিৰ্ম্মাণে প্ৰবৃত্ত হন। নবসমাজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া, স্বাধীনচেতা কেশবচন্দ্ৰ নব উদ্যমে দলবল লইয়া, শাতগুণ উৎসাহে প্রচারকাৰ্য আরম্ভ করিলেন। দেবেন্দ্রনাথের সহিত র্তাহাদের DDL BD BDBDBD BDDS BDS DDB KK DDBBB BD DBD DBDBDB BDS DBBD সমভাবেই নূতন সমাজে উপদেশাদি দিতে লাগিলেন। কেশবচন্দ্ৰ। ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দের ৬ই মে “ষীশুখৃষ্ট, ইউরোপ ও এসিয়া” নামক “অসাধারণ বাগিতা ও আশ্চৰ্য্য ধৰ্ম্মভাবের উদারতা-পূর্ণ’ প্ৰসিদ্ধ বক্তৃতা করিয়া যশোদীপ্ত ও সম্মানিত হইলেন। এই অপূৰ্ব্ব বক্তৃতাপাঠে মুগ্ধ হইয়া শিমলা শৈলাবাস হইতে বড়লাট সার জন লরেন্স পত্ৰ লিখিয়া কেশবচন্দ্রের সহিত আলাপ করিলেন । এই আলাপ ক্ৰমে বন্ধুত্বে পরিণত হইল। আদি ব্ৰাহ্মাসমাজে ‘ব্রাহ্মসমাজ সমর্থন”, শিয়ালদহ রেল-ষ্টেসনে ‘ব্রাহ্মসমাজের স্বাধীনতা ও উন্নতিসংগ্ৰাম’, মেডিকেল কলেজ থিয়েটারে ‘মহাপুরুষ-বিষয়,” গোপাললাল শীলের ভবনে ‘নবজীবনপ্রদ বিশ্বাস, টাউনহলে ‘খুষ্ট’ সম্বন্ধে বক্তৃতা করিয়া তিনি বড়লাট ও সন্ত্রান্ত ইংরাজ-সম্প্রদায় হইতে সৰ্ব্বসাধারণ পৰ্য্যন্ত সকলের সন্মানভাজন হইয়াছিলেন। মাদ্রাজে দুৰ্ভিক্ষ উপস্থিত হইলে, কেশবচন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মসমাজে সভা আহবান পূৰ্ব্বক, অর্থ সংগ্ৰহ করিয়া, সাহায্য পাঠাইয়াছিলেন। বিজয়কৃষ্ণ, প্রতাপচন্দ্র, সাধু অঘোরনাথ, গৌরগোবিন্দ প্রভৃতি ধৰ্ম্মপ্রাণ প্রচারকবৃন্দকে সঙ্গে লইয়া কেশবচন্দ্র ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর,