পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্ৰ সেন । '8. বরিশাল, বেহার, যুক্ত প্ৰদেশ, পঞ্জাব, লাহোর প্রভৃতি ভারতের নানা প্রদেশে প্ৰবল উৎসাহে ব্ৰাহ্মধৰ্ম্ম প্রচার করিতে লাগিলেন। পঞ্জাবের ছোট লাট ও লাহােরের ব্রিটিশ রাজদূত কেশবচন্দ্রকে নিজগৃহে নিমন্ত্রণ করিলেন। তঁহার হৃদয়োম্মাদিনী বক্তৃতায় সকলেই মুগ্ধ-আকৃষ্ট হইল ; সংবাদপত্রের উচ্চ প্ৰশংসায় সকল প্রদেশেই তাহার যশোরশ্মি বিকীর্ণ হইল। ১৮৬৮ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে শিক্ষিত ব্ৰাহ্মগণকে লইয়া নগর-সঙ্কীৰ্ত্তন করিয়া, কেশবচন্দ্ৰ ভারতবর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজের ভিত্তিস্থাপন করিলেন ;-~~ উপাসনাদি করিয়া ২১ জন শিক্ষিত যুবককে ব্রাহ্মধৰ্ম্মে দীক্ষিত করিলেন। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী লিখিয়াছেন :-“১৮৬৭ সাল হইতে যুবকদলের প্রচারোৎসাহ আগুনের ন্যায় জ্বলিয়া উঠিল। অনেকে কল্যকার চিন্তা ত্যাগ করিয়া প্রচারব্রত গ্ৰহণ করিলেন ; এবং অৰ্দ্ধাশনে ও অনশনে দিন কাটাইতে এবং পাদুকাবিহীন-পদে কলিকাতা নগরে ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন । * * ইহারা মহাত্মা চৈতন্তের ভক্তিতত্ত্ব আলোচনা করিতে লাগিলেন এবং খোল-করতালসহ সঙ্কীৰ্ত্তন-প্ৰথা প্ৰবৰ্ত্তিত করিলেন।” ১৮৬৯ খৃষ্টাব্দে ঢাকায় নগর-কীৰ্ত্তন করিয়া, ঋষিবেশে সুসজ্জিত কেশবচন্দ্র ইংরাজী ও বাঙ্গালা বক্তৃতায় সকল সম্প্রদায়ের লোককে বিস্মিতমোহিত করিয়া, পূৰ্ব্ব-বাঙ্গালা-ব্রাহ্ম-সমাজ-মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করিলেন। সিভিলিয়ান মিঃ কে,জি গুপ্ত প্রভৃতি চল্লিশ জন শিক্ষিত ব্যক্তি দীক্ষিত হইলেন। টাউনহলে ‘ভারতের সহিত ইংলণ্ডের সম্বন্ধা’ শীর্ষক বক্তৃতায় কেশবচন্দ্ৰ বিলাতযাত্রার জন্য সাধারণের নিকট অর্থসাহায্যপ্রার্থী হইলে পাঁচ শত টাকা মাত্ৰ সংগৃহীত হইয়াছিল। পরে ইউটেরিয়ান সম্প্রদায়ের ব্যয়ে, ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে ১৫ই ফেব্রুয়ারী কেশবচন্দ্ৰ লৰ্ড লরেন্স প্রভৃতি সম্রাস্তু একেশ্বরবাদী