পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

重独 ভারত-প্রতিভা ১৮৭৭ খৃষ্টাব্দে কেশবচন্দ্ৰ কলুটােলার বাড়ীর অংশ বিক্রয় করিয়া লোয়ার সারকুলার রোডে “কমল-কুটীর’ নিৰ্ম্মাণ করিলেন ; প্ৰতাপচন্দ্ৰ প্ৰভৃতি প্রচারকগণ তথায় বাড়ী নিৰ্ম্মাণ করিলেন, স্থানটির নাম “মঙ্গলপাড়া” হইল। ১৮৭৮ খৃষ্টাব্দে বহু বাদানুবাদের পর কেশবচন্দ্রের জ্যেষ্ঠা কন্য সুনীতি দেবীর সহিত কুচবিহারের মহারাজের বিবাহ হয়। কেশবচন্দ্র পাত্ৰপাত্রীর বিবাহের বয়স নিৰ্দ্ধারিত করিয়াছিলেন-কিন্তু এই বিবাহের পাত্ৰপাত্রী অপ্ৰাপ্তবয়স্ক ছিলেন । বিশেষতঃ পাত্ৰ ব্ৰাহ্ম ছিলেন না । কেশবচন্দ্র নিজে কন্যার বিবাহে নিৰ্দ্ধারিত বিধি নিজেই ভঙ্গ করেন, এবং ঈশ্বর কর্তৃক প্ৰত্যাদিষ্ট হইয়াছেন, এই মত প্ৰকাশ করিয়া আত্মপক্ষসমর্থন করেন। এই বিবাহে বাল্য-বিবাহের অনুমোদন ও পৌত্তলিকতাচরণ প্ৰভৃতির জন্য র্তাহার সম্প্রদায়ের সহিত তঁহার মতবিরোধ হয়। ব্ৰাহ্মগণ ক্ষুন্ন হইয়া কেশবচন্দ্রকে পরিত্যাগ করিয়া দুটা স্বতন্ত্র দলে বিচ্ছিন্ন হন । বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী, শিবনাথ শাস্ত্রী, আনন্দমোহন বসু, দুৰ্গামোহন দাস প্রভৃতি উৎসাহী ব্ৰাহ্মগণ বিচ্ছিন্ন হইয়া “সাধারণব্ৰাহ্মসমাজে’র প্রতিষ্ঠা করিয়া সোৎসাহে ধৰ্ম্মপ্রচারে আত্মনিয়োগ করেন। উৎসাহের ‘অগ্নিমান্ত্রে দীক্ষিত’ কেশবচন্দ্ৰ। পরমভক্তসমাজে থাকিয়া প্ৰতাপচন্দ্ৰ, সাধু অঘোরনাথ প্রভৃতি প্রচারকগণকে লইয়া ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দের ১২ই মার্চ প্ৰবল উদ্যমে “নববিধান” নামক “সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয়’ ধৰ্ম্মমতের প্রচার করেন। এই ধৰ্ম্মমত কতকটা বৈষ্ণবধৰ্ম্মমতের অনুগত। কেশব ভারত বর্ষীয় ব্ৰাহ্মসমাজকে “নববিধান সমাজ” নামে অভিহিত করেন। কেশবচন্দ্রের অনুরোধে প্ৰতাপচন্দ্ৰ খৃষ্টীয় শাস্ত্র, গৌরগোবিন্দ হিন্দুশাস্ত্র সাধু অঘোরনাথ বৌদ্ধশাস্ত্র, গিরিশচন্দ্র মুসলমানশাস্ত্ৰ হইতে সত্য সঙ্কলন