পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত-প্ৰতিভা ج& আচাৰ্য্য কেশবচন্দ্রের কন্যাৰ বিবাহের বিরুদ্ধ আন্দোলনের সময় বিজয়কৃষ্ণ বাগ-আচড়ার নির্জন আশ্রমে বিশেষ সাধন ভজনে নিমগ্ন ছিলেন। বিজয়কৃষ্ণ কলিকাতায় আসিয়া কেশবচন্দ্রের বিরুদ্ধ আন্দোলনে যোগদান কবিয়া বলিলেন, “কেশববাবু আমার মহর্ষি, কৰ্ত্তা বা পালনকৰ্ত্ত নহেন ; কেশববাবুকে দেখিয়া আমি ব্রাহ্মসমাজে আসি নাই ; সত্যের অবমাননা আমি কখনই সহ্য করিতে পারিব না ।” নানা বিরুদ্ধ আন্দোলনের পর এই বিবাহ সম্পন্ন হইলে ব্ৰাহ্মসমাজ দুইটি স্বতন্ত্র দলে বিচ্ছিন্ন হয়। ১২৮৫ সালের ২বা জ্যৈষ্ঠ কলিকাতা টাউনহলে সভার অধিবেশন করিয়া বিজয়কৃষ্ণেল প্ৰস্তাবে, নগেন্দ্ৰনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে “সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজ” প্ৰতিষ্ঠিত হয় । বিজয়কৃষ্ণ সাধারণ ব্ৰাহ্মসমাজেৰ আচাৰ্য্য ও প্ৰচাৰক নিযুক্ত হইষা সমাজ-পরিচালনে, তাহার উন্নতিবিধানে, উহার প্রচারন্ধুত আত্ম-নিবেদন করিলেন ও তিনি হিন্দুশাস্ত্ৰ হইতে উপদেশ সঙ্কলন করিয়া উষ্ঠা বিতরণ করিতে আরম্ভ করিলেন। পসে আবার পূর্ববাঙ্গালায় গিয়া গীতা, পুবাণ, উপনিষদ ও তন্ত্রাদি হইতে নানা বিষয় সঙ্কলিত কবিয়া দেশবাসিগণকে মুগ্ধ করিলেন। ঢাকায় রবি-বাসবীয় বিদ্যালয় ও ব্রাহ্ম-সন্মিলনী সভা এবং ব্ৰাহ্ম-দরিদ্র-পবিবাল ফাগু প্ৰতিষ্ঠা তিনিই করেন , এব” ব্ৰাহ্মণবেডিয়ায় গিয়া ‘প্ৰহলাদের ভক্তিবিশ্বাস অবলম্বন? —“কুমিল্লায় গিয়া ধ্রুবের নীতি অবলম্বন' এবং মহেশপুৰ, নবদ্বীপ,সিরাজগঞ্জ, বহরমপুব, জলপাইগুড়ি, রামপুৰ, বাগ-আচড়া প্ৰভৃতি স্থানের ব্রাহ্মোৎসবে গমন করিয়া বক্তৃতা কবেন । তিনি মহানিৰ্বাণ তন্ত্র হইতে সংগ্ৰহ করিয়া যে সারগর্ভ বক্তৃতা করিয়াছিলেন, তাঙ্গা ব্রিাহ্মপূজা' নামে পুস্তিকারূপে প্রচাব করিয়া নানাস্থানে বিতরণ করেন। ১২৮৭ সালে বিজয়কৃষ্ণ আবার পশ্চিমবঙ্গে আসিয়া কোন্নগর, হবিনাভি হইতে আরম্ভ করিয়া হাজারিবাগ, গয়া,