পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b8 ভারত-প্রতিভা । আহাম্মক, কেউ কিছু বললেই কি চট্‌ ক’রে বিশ্বাস করতে হয় ? সত্যি । যদি ব্ৰহ্মদৈত্য থাকত তাহলে অনেক আগেই ঘাড় ভাঙতো।” লেখাপড়ায় নরেন্দ্রনাথ সহপাঠিগণের শীর্ষস্থানে থাকিতেন। তঁহার অসাধারণ স্মৃতিশক্তির পরিচয় শৈশব হইতেই পাওয়া যায়। পাঁচ বৎসর বয়ঃক্রমকালে তিনি সমগ্ৰ মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ আয়ত্ত করিয়া ফেলিয়াছিলেন। সাত বৎসর বয়সে তিনি কৃত্তিবাস-বিরচিত স্বামায়ণ হইতে যে কোনও স্থল আবৃত্তি করিতে পারিতেন। একবার কোনও বাড়ীতে রামায়ণ-গান হইতেছিল। নরেন্দ্রনাথ তথায় শ্রোতা। গায়ক রামায়ণ-কথা বলিতে বলিতে সহসা থামিয়া যান, একটা কথা তাহার মনে পড়িতেছিল না। নরেন্দ্রনাথ সেই স্থলটি আবৃত্তি করায় সমবেত "শ্রোতৃবৃন্দ ভঁাহার স্মৃতিশক্তির প্রখরতায় বিস্ময়-বিমূঢ় হইয়া পড়েন। । বিপৎকালে অবিচলিত থাকার অনেক উদাহরণ বালক নরেন্দ্ৰনাথের জীবনে দেখিতে পাওয়া যায়। কর্ণওয়ালিস স্ট্রীটে, সিমলা পল্লীর বালকদিগের ব্যায়ামশিক্ষার আখড়া ছিল। নরেন্দ্রনাথ তথায় প্রত্যহ গিয়া বায়াম অভ্যাস করিতেন। একদিন বালকের আখড়ায় একটা “ট্রাপিজ” খাটাইবার জন্য ব্যর্থ প্রয়াস করিতেছিল। প্ৰকাণ্ড কাঠের স্তম্ভটি কোনও মতেই স্থাপন করা যাইতেছিল না। পথে বহুলোক দাড়াইয়া তামাসা দেখিতেছিল। জনতার মধ্যে একজন বলিষ্ঠ ইংরাজ নাবিককে দেখিয়া নরেন্দ্রনাথ তাহাকে সাহায্য ". করিবার জন্য আহবান করিলেন। ইংরাজটি সানন্দে বালকদিগের সাহায্যার্থ অগ্রসর হইলেন। ট্রাপিজের পদদ্বন্ধু ইংরাজ নাবিক গৰ্ত্তমধ্যে ধীরে ধীরে প্রৰিষ্ট করাইতে লাগিলেন। বালকেরা উহার শীর্ষদেশ টানিয়া তুলিতে লাগিল। সহসা দড়ি ছিড়িয়া গেল। ট্রাপিজের একটি পা ঠিক্রাইয়া ; : সাহেরের ললাটে প্রচণ্ড আঘাত করিল। নাবিকের সংজ্ঞাশ্বন্ত রক্তাক্ত