পাতা:ভারত-প্রতিভা (প্রথম খণ্ড) - সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शाशै दिहबकानन । A. bre দেহ ভূমিতলে লুটাইয়া পড়িল। বালকের দল এই আকস্মিক দু কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইল,পরক্ষণেই যে যে দিকে পারিল, পলায়ন করিল। কিন্তু স্থিরবুদ্ধি প্ৰত্যুৎপন্নমতি নরেন্দ্রনাথ মাত্র দুই একজন সঙ্গীর সহিত ঘটনাস্থলে থাকিয়া সাহেবের ক্ষতস্থানটির প্রতীকারোপায় করিতে লাগিলেন। পরিধেয়। বসন ছিন্ন করিয়া অগ্ৰে ক্ষিপ্ৰহস্তে তিনি নাবিকের ক্ষতস্থল বঁধিয়া দিলেন। তার পর বিবিধ উপায়ে তঁহার চৈতন্য-সম্পাদনা করিয়া ট্রেণিং একাডেমী নামক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে তাহাকে ধরাধরি করিয়া লইয়া গেলেন। ডাক্তার আসিয়া পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন, আঘাত সাংঘাতিক নহে। চিকিৎসা ও শুশ্রুষায় সাহেব সুস্থ কুঁয়া উঠিলে, নরেন্দ্রনাথ পল্লীর সন্ত্রান্ত ব্যক্তিগণের নিকট হইতে চান্দা তুলিয়া তাহাকে পাথেয় দিয়া বিদায় করিলেন। নরেন্দ্ৰনাথ যে উত্তরকালে একজন মহাদ্ব্যক্তি হইবেন, এ বিষয়ে বাল্যকাল হইতেই কেহ কেহ ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন । নরেন্দ্ৰনাথ যখন ষড় বর্ষবয়স্ক বালকমাত্র, সেই সময় তাহার খুল্লপিতামহ পরলোকগমন করেন। “মৃত্যু আসন্ন বুঝিয়া বৃদ্ধ আত্মীয়-স্বজনকে কাছে ডাকাইয়া আনিলেন। বৃদ্ধের তখন একবার মহাভারত শুনিবার ইচ্ছা হইল। বালক নরেন্দ্রনাথ খুল্লপিতামহের শেষ সাধ পূর্ণ করিবার জন্য স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়া পরিষ্কারকণ্ঠে মহাভারতের নির্দিষ্ট স্থলটি পড়িয়া শুনাইলেন। বৃদ্ধ তখনই বলিয়াছিলেন, “কালে এই বালক অতি মহৎ হইবে।” শৈশব হইতেই নরেন্দ্রনাথ রামায়ণ-ভক্ত ছিলেন। কোনও স্থানে রামায়ণ-গান হইতেছে শুনিলেই তিনি সেখানে উপস্থিত হইতেন। শ্ৰীরামচন্দ্রকে সৰ্ব্বগুণধার আদর্শ পুরুষ বলিয়া তাহার ধারণা জন্মিয়াছিল। রামভক্ত হনুমানও তাহার, বিশেষ শ্ৰদ্ধা ও অনুরাগের পাত্র ছিলেন। তিনি শুনিয়াছিলেন, রামসেবক, ভক্তবীর হনুমানকে তদগতমনে ধ্যান করিলে ।