পাতা:ভারত ভ্রমণ - তারিনীকান্ত লাহিড়ী চৌধুরী .pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষেী। বিচিত্র নহে। রমণীগণের স্মানের হামাম এখন ভগ্নাবস্থায় পতিত, উহার একদিকে একটী জল-প্ৰণালী ও তাহার উপরে একটী সেতু দেখিতে পাইলাম। পূর্বে প্রতিবৎসর ভাদ্রমাসের প্রথম তারিখে যে মেলা বসিত তাহাতে সৰ্বসাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল, তখন নগরের প্রায় সকলেই সমবেত হইয়া সেদিন অপূর্ব আনন্দােৎসবে অতিবাহিত করিত। বর্তমান সময়ে কৈসর-বাগের সে সৌন্দৰ্য আর নাই-চারিদিকেই যেন কেমন একটা নৈরাশ্যের ছায়া দেদীপ্যমান। যে স্থানে একদিন রূপসী ললনাকুল নিজ নিজ রূপপ্ৰভায় চতুর্দিক আলোকিত করিয়া সৌন্দৰ্য্য সৃষ্টি করিত, যেখানে লক্ষ্মেীঠংরির মধুর নিনাদে আনন্দ-লহরী নাচিয়া বেড়াইত, আজ তাহার কি পরিণাম! এখন প্রাঙ্গণস্থ উত্তরদিকের সৌধনিচয় গবৰ্ণমেণ্টের আদেশে । ভূমিসাৎ হইয়াছে,-একদিক ভাঙ্গিয়া ক্যানিং কলেজের কলেবর গ্রথিত হইয়াছে —অন্যদিকে আমাদের পূর্বোল্লিখিত 'লাখ দরওয়াজ’ বা লক্ষনী-দরোজা এখনও বিদ্যমান। আমরা লাখ-দরোজা পার হইয়া লক্ষ্মেী নগরীর প্রসিদ্ধ ইমামবাড়া দেখিতে চলিলাম, লাখ-দরোজার বাহিরের পথের নিকট আসিবা মাত্রই সম্মুখে । কাইসর-পছন্দ বা রোসন-উদ্দৌলা নামক একটী শোভাময় সৌধ দেখিয়াছিলাম। কৈসর বা কাইসরপছন্দ নামক সৌধের উপরিভাগ অৰ্দ্ধবৃত্তাকৃতি ও স্বৰ্ণময় আবরণে আবৃত। এই অট্টালিকা নবাব ওয়াজিদ আলী শাহ গ্ৰহণ পূর্বক তাঁহার প্রিয়তমা বেগম মলুক-উষ-সুলতানাকে বাসের জন্য দান । করিয়াছিলেন। ইহার সম্মুখভাগেই ‘শের দরওয়াজা’ নামক সিংহদ্বার, ইহা । এখন “নীল-দ্বার’ নামে পরিচিত, এস্থানে সিপাহী-বিদ্রোহের সময় লাখী দ্বারের নিকট স্থাপিত একটা কামানের লক্ষ্যশূন্য গোলাতে সেনাপতি নীল আহত হইয়াছিলেন বলিয়াই এই দ্বারকে ইংরেজেরা "নীল-দ্বার’ নামে অভিহিত । এই প্ৰসিদ্ধ অট্টালিকার সর্বােগ্রস্থিত তোরণকে “রূমি দরোজা’ কহে, ইহা । রুমদেশের অনুকরণে গঠিত প্ৰকাণ্ড তোরণ। এই তোরণ " *" দ্বারের গঠনের সহিত গ্ৰীক এবং ইতালী গঠনের অনেক । সোসাদৃশ্য আছে। রূমি দরোেয়াজাই ইম বাড়াতে প্ৰবেশ করিবার " . .". " . با . . . . " . من ایع . به

. . . . ...th.' ... r .

. * , ,·ኒ'፲ ጳ‛ * , , , , লক্ষ্মী",-1);