পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষা বিজ্ঞান । R) ৪৪১ স্বত্র। বহুব্রীহি সমাস হইবার পূৰ্ব্বে আর একটি সমাস হয় । যে সমাস পূৰ্ব্বে হয়, বহুব্রীহিকে তদগৰ্ত্ত বহুব্রীহি বলে। যথা পীত+অর্ষর ( কৰ্ম্মধারয়ক ) পীতাম্বর অর্থাৎ পীতবর্ণ বস্ত্র ; কিন্তু যখন পীতাম্বর শব্দে পীতবর্ণ বস্ত্র না বুঝাইয় পীত বর্ণ বস্ত্রধারী বিষ্ণুকে বুঝায়, তখন বহুব্রীহি সমাস হয়। এইরূপ বহুব্রীহিকে কৰ্ম্মধারয়ক গৰ্ত্ত বহুব্রীহি বলে । এইরূপ গঙ্গাধর খুদে যখন শিবকে বুঝায়, তাল উহাতে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ-গৰ্ত্ত বহুব্রীহি হইয়াছে বলা যায় । ৪৪২ স্বত্র। ৩৯৯ স্বত্রের (গ) উপস্থত্রে যে প্রকারের শব্দের বিষয় লিখিত হই য়াছে, তাহীদের উপর পূৰ্ব্বে অষ্ঠ সমাস না হইয়া একবারেই বহুব্রীহি সমাস হইতে পারে। যেমন মনসিজ ( অর্থাৎ ) মনেই জন্মে যে সে মনসিজ অর্থাৎ কন্দৰ্প । এস্থানে মনোজ বলিলে সপ্তমী তৎপুরুধ গৰ্ত্ত বহুব্রীহি হয়। এইরূপ ধনং ( ধনকে ) জয় করিয়াছে যে সে ধনঞ্জয় অর্থাৎ অৰ্জুন, পরাং ( শ্রেষ্ঠাৎ ) পর ( শ্রেষ্ঠ ) পরtংপর অর্থাৎ ঈশ্বর, বাঁচ: ( বাক্যের ) পতি= বাচস্পতি অর্থাৎ বৃহস্পতি ইত্যাদি । , ৪৪৩ সুত্র। অন্ত সমাসে নিম্পন্ন পদের উত্তর বহুব্রীহি সমাস হইতে ঐ পদের উত্তর একটি যৎ শব্দের পদ থাকে এবং তাঁহার উত্তর ঐ শব্দটি বলিতে হয়। যথা, গঙ্গাকে ধরে যে সে গঙ্গাধর, পীত অম্বর যাহার সে পীতাম্বর, ইন্দ্র জিত যাহাৎ সে ইন্দ্রজিৎ ৷ ইত্যাদি শব্দে যে যাহার ও যাহাং পদ যত শব্দ সস্তৃত। ৪৪৪ সূত্র। বহুব্রীহি সমাসেৎ উৎপন্ন সমুদায় শব্দই বিশেষণ ও বিশিষ্য উভয়ই হইতে পারে । ৪৪৫ সুত্র। বহুব্রীহি সমাসে উৎপন্ন পদ যাহাঁকে বুঝায় অথবা যে শব্দের বিশেষণ হয়, সেই লিঙ্গ প্রাপ্ত হয় এবং তদনুরূপ আকৃতি ধারণ করে। যথা যুবতী ভাৰ্য্যা যাহার সে যুবতীভাৰ্য্য, হৃতপুত্র যাহার (যে স্ত্রীর) সে হৃতপুত্রা ইত্যাদি। ৪৪৬ সূত্র । বহুব্রীহি সমাসে শকুথি, নাভি, সখি, অক্ষি শব্দের অস্ত্যই স্থানে পুংলিঙ্গে অ এবং স্ত্রী লিঙ্গে ঈ হয়। যথা পদ্মনাভ, বিবুধ সখ, পুণ্ডরিকাহ্ম, দীর্ঘ শকৃথ, বিশালাক্ষী গোলক শকৃথী ইত্যাদি । নিপাতনে উর্ণা নাভিতে যাহার সে উর্ণনাভ। ৪৪৭ স্বত্র। বহুব্রীহি সুমাসে শেষ শখের অস্ত্য অস ও অন স্থানে আ হয়। যখ। শীঘ্ৰ কৰ্ম্মী উগ্রতেজা, উন্মন ইত্যাদি। ঈদৃশ শব্দ বাঙ্গালী ভাষায় স্ত্রীলিঙ্গে ७ शृ१ लिटण जयांन थांदक । 朝 טאל