পাতা:ভাষা বিজ্ঞান নামক বাঙ্গালা ভাষার ব্যাকরণ.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిషి বাঙ্গালা ব্যাকরণ । ৪৪৮ স্বত্র। কৃৎ কিম্বা টৎ প্রত্যয় দ্বারা তৎপুরুষ সমাসে একীকৃত্ত পদ যখন বহুব্রীহির স্তায় সাধারণ অর্থ প্রকাশ করে, তখন তথায় বহুব্রীহি সমাস বলা যায় না। কিন্তু বিশেষ অর্থ প্রকাশ করিলে বহুব্রীহি বলা যায়। যেমন “বাহী” শব্দে যে বহন করে তাহকে বুঝায়। সুতরাং "গন্ধবাহী” শব্দে যখন “গন্ধকে বহন করে ষে” তাহাকেই বুঝায় তখন—সাধারণ অর্থ প্রকাশ করা হেতু বহুব্রীহি হয় না। কিন্তু যখন “গন্ধবাহী শৰ বায়ুকে বুঝায় তখন বহুব্রীহি হয়।"ার জ্যোতি’ শব্দে (৩৩৪ স্থত্র ) জ্যোতিঃ “যাহার আছে” তাহাকে বুঝায় । সুতরাং উষ্ণ “জ্যোতিষ্ক’ শব্দে যখন "উষ্ণ জ্যোতিঃ যাহার' আছে” তাহাকেই বুঝায় তখন বহুব্রীহি হয় না। কিন্তু মখন কেবল "স্বৰ্য্যকে” বুঝায়, তখন তাহাতে বহুব্রীহি জ্ঞান করা যাইতে পার। এইরূপ বংশীধারী, গিরিধারী কুরুমুত, লোকপিতামহ ( এক বিশেষ অর্থে ব্রহ্মা) ইত্যাদি । 轉 পরন্তু টিং প্রত্যয় দ্বারা বিশেষ অর্থ হইলেও পূৰ্ব্ব বৈয়াকরণদিগের মতে তথায় বহুব্রীহি সমাস বলা যায় না। কারণ সমাস ব্যতীত ও টিৎ প্রত্যয়েৎ শব্দের বিশেষ অর্থ হইয় থাকে। যেমন রাঘব শব্দে রঘুবংশীয় অন্ত কাহাকেও না বুঝাইয়া রামচন্দ্রকে বুঝায় তদ্বিষয়ে কোন সমাসের সাহায্য আবশুক হয় না। এই যুক্তি সঙ্গত নহে। টিং প্রত্যয়ান্ত শব্দকে বিশেষ অর্থ প্রকাশ করিতে দেখিয়া সমাস স্থলে বহুব্রীহি বলা না বলা পাঠকদিগের স্বেচ্ছাধীন। কিন্তু আমার বিবেচনায়, এইরূপ স্থানে বহুব্রীহি বলাই ভাল। কারণ টিং প্রত্যয় দ্বারা স্থান বিশেষে বিশেষ অর্থ হয় বটে, কিন্তু সৰ্ব্বত্র তাঁহা হয় না। সমাসের নিপাতন সিদ্ধ পদ । ৪৪৯ সুত্র। দ্বন্দ্বে—পর + পর= পরস্পর অন্ত +অন্ত=অস্তোন্ত বা অন্যান্ত । কৰ্ম্ম ধারয়কে-কু° পুরুষ=কাপুরুষ, কু4-উষ্ণ=কবোঞ্চ হরি+রূপ +চন্দ্র= হরিশ্চন্দ্র; মহৎ +মা’স=মহামাংস বা মহামাস । • . দ্বিতীয় তংপুরুষে—পরকে + পরে= পরম্পরায় (সংস্কৃতের দ্বিতীয়ার বিভক্তি অৰিলুপ্ত আছে । ) পঞ্চমী তৎপুরুষে—কুলাৎ+অট=কুলটা ; পরাৎ+পরে=পরত: পর ; পুতাৎ