পাতা:ভিষক্‌-দর্পণ (প্রথম খণ্ড).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f فسb م (ج ভিষকৃ-দৰ্পণ । [ সেপ্টেম্বর, ১৮৯১ ১ম, তণ্ডুল । আমাদিগের প্রধান আহারীয় মধ্যে পরিগণিত। ইহা ধান্যের তুষ বিভিন্ন করিলে উৎপন্ন হয় । ইহার বর্ণ কথন শুভ্র, কখন রক্ত, এবং কখন বা কাল হইয়া থাকে। ইহার দেশ ভেদে নাম ভেদ হয়। ভারতবর্ষের পূৰ্ব্বস্থলীতে ঢাকা, বরিশাল, বাখরগঞ্জ, পাবনা প্রভৃতি প্রদেশে বালাম চাউল প্রচুর জন্মিয় থাকে। কলিকাতার প্রায় ত্রিচতুর্থাংশ লোকেই বালাম চাউল ভক্ষণ করে, অতএব বালাম চাউল কলিকাতার প্রাণ বলিলেও অত্যুক্তি হয় না । অন্যান্য গ্রামস্থ লোকসমাজে এতদেশীয় বাকতুলসী, রামশাল, গোপালভোগ, পরমান্নশাল, পাটনাই প্রভৃতি নানাপ্রকার উৎকৃষ্ট উৎকৃষ্ট সূক্ষ্ম স্থখু চাউল ব্যবহৃত হইয় থাকে । যাহা হউক, সকল স্থানের চাউলের গুণ প্রায় এক প্রকার । চাউল অতি লঘু আহার, সহজে জীণ হয়, অথচ উপাদান সমগ্রী সহযোগে লিলক্ষণ শরীরপুষ্টিকারক ও উদর পূৰ্ত্তি-সাধক । ইহাতে প্রায় ১ পেণ্ডে ২ ৭৩২ গ্রেণ অঙ্গরি জান প্রবর্তক ও ৬৮ গ্ৰেণ যবক্ষীর-জান প্রবর্তক বস্তু আছে । ৩ হইতে ৭.৫ ভাগ যবক্ষীর-জান প্রবর্তৃক বস্তু আছে । চাউল অপেক্ষা গম কি স্বা ময়দায় যবক্ষার-জান প্রবক্তক বস্তু অধিক, এবং বসাত্মক বস্তু ও গম অপেক্ষ নুনি কেবল সহজে পচনীয় ষ্টাচ বা লালাত্মক বস্তু অধিক পরিমাণে আছে । এজন্য যে সকল জাতির ত খুল প্রধান আহার তাঁহাদিগের অমিষ ও মাংসাস্তুগত বসাতেই বস্tশ্ন ক অfহারী, এবং যে সকল বৃক্ষ ও অতএব প্রায় শতকর। লতার স্বটি আছে, তাহার, অন্তর্গত বীজ আহারেই অধিকাংশ যবক্ষার-জান-প্রবর্তৃক আহারীয় সম্পাদন হয় । তণ্ডুলে লবণের ভাগ ও অত্যন্ত্র । তণ্ডুল রন্ধন করিলে এক প্রকার মাড় নির্গত হয়, তাহার নাম ফেন । এই ফেনকে কাজিও কছিয়। থাকে। এই মাড়ে অওলালাত্মক অংশ থাকে, এজন্য চাউলের অনেক সারাংশ তদ্বারা নির্গত হইয়া যায়, কেবল কিঞ্চিৎমাত্র ষ্টার্চ অবশিষ্ট থাকে। যব, গম, ভুট্টা, জোই প্রভৃতি অপেক্ষা চাউলে ষ্টাৰ্চ অধিক পরিমাণে আছে , কিন্তু উপরি উক্ত সকল শস্যে যবক্ষার অতিরিক্ত আছে। তণ্ডুলে যবক্ষীর-জানপ্ৰবৰ্ত্তক বস্তু সৰ্ব্বাপেক্ষা কম । এ জন্য কেবল তণ্ডুলাহারী মনুষ্যমাত্রকেই অন্যান্য উপাদান সামগ্রীর সহিত তণ্ডুল ভোজন করিতে হয়,যথা দুগ্ধ, মৎস্য,মাংস ও সবজী প্রভৃতি । বাঙ্গালা, উড়িষ্যা ও বিহারের কিয়দংশের অধিবাসীগণ প্রায় তণ্ডুলাহারী । বিহারের অন্যান্য অংশে গম ও যবাহারী ব্যক্তি অনেক ; এবং পশ্চিমাঞ্চলে প্রায় তণ্ডুলাহারী লোক মেলা কঠিন । © ২য়, ময়দা । গোধূম উত্তমরূপে পেষণ করিয়া ছকিয়া লইলে ময়দা প্রস্তুত হয় । এই ময়দা পশ্চিমাঞ্চলবাসীদিগের আহার । নিম্ন বঙ্গদেশে গোধূম প্রায় জন্মায় না, ইহা কেবল উচ্চ পাশ্চাত্য প্রদেশে প্রচুর পরিমাণে জন্মিয় থাকে। আজ কাল এ প্রদেশে অনেকানেক ব্যক্তি ময়দার রুটী, লুচি অহার করিতে আরম্ভ করিয়াছেন। ময়দার গুণ-বিচারে ১ম, ময়দার ভুলী অত্যন্ত্র থাকিবে, এবং শুভ্রবর্ণ, কিঞ্চি ও হরিদ্রার প্রধানতঃ