পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• ১৬০ ] প্রাচ্য পৰ্বতের পূর্ব ও লোহিত সাগরের পশ্চিমে ভূমি প্রায়ই পৰ্বতময় ও অনুৰ্বরা। কিন্তু ম ্যে মধ্যে উর্বর ও জল পুর্ণ ক্ষেত্র দেখিতে পাওয়া যায়। সেই সকল উর্বর স্থান দিয়া সাৰ্থবাহকের সচরাচর কেরো নগর হইতে মুইয়েজ নগরে গমনাগমন করে । ". . . মিসর গ্রীষ্মপ্রধান দেশ ; বায়ু অতিশয় পরিশুষ্ক রষ্টি প্রায়ই হয় না । কিন্তু গ্রীসু্যের আতিশয্যে লোকের অতিশয় কষ্ট অনুভব হয় না ; উত্তর দিগ হইতে সচরাচর অতি মুখস্পর্শ বায়ু প্রবাহিত হইয়। অতপ তাপের প্রখরতা বিনষ্ট করে । এ দিগে মিসরের দক্ষিণ ভাগে শীতকালে রাত্রি অতিশয় শীতল দিনমানেও ছায়াতে অতিশয় শীত, সৰ্বদ গাত্রে গরম কাপড় না পরলে নানা প্রকার উৎকট পীড়া জন্মে। চৈত্র মাসের প্রথম পক্ষে এ দেশে দক্ষিণ দিগ হইতে খসিম নামে অত্যন্ত উষ্ণ বায়ু প্রবাহিত হয়। ঐ বায়ু প্রায় পঞ্চাশ দিন প্রবল থাকে, তখন লোকের অত্যস্ত ক্লেশ । ভয়ঙ্কর সমুম বায়ুও সময়ে সময়ে এ দেশে প্রবাহিত হয়। . . জৈষ্ঠ মায় আষাঢ় আইসে এমন সময় নীল নদী স্ফীত হইতে আরম্ভ হয়। অশ্বিন মাসে স্ফীতির চরম সাম । পরে কয়েক দিন সমভাবে প’কিয় ক্রমে ক্রমে জল মরিতে আরম্ভ হয় । অগ্রহায়ণের প্রথমার্দ্ধে সমুদায় জল মরিয়া পুনৰ্বার খাত মধ্যে নিরুদ্ধ হয়। নীলের পরাবাহে র দ্বীপ ও অববাহিক জলমগ্ন হইয়া যায় । তত্রত গ্রাম সকল সাগর্যন্তর্গত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপের ন্যায় বিচ্ছিন্ন হইয় পড়ে। উৎকট বন্যা হুইলে সমুদায় মগ্ন হইয়া চতুৰ্দ্দিগে একমাত্র বিস্তীর্ণ বারিরাশি দৃষ্ট হইতে থাকে। অল্প বন্যা হইলে সে বার প্রায়ই দুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয় । ফলতঃ নাত্যপে বন্যাই এ দেশের সৌভাগ্য ।