পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ لا عن لا } তদ্বারা সমূদায় বদ্বীপ ও অববাহিক অভিনব পললস্তরে আচ্ছন্ন হওয়াতে বীজ ছড়াইবার ক্লেশমাত্র স্বীকার করিলেই প্রচুর শস্য উৎপন্ন হয় | নীলের জল শস্য উৎপাদন বিষয়ে এত অনুকুল যে তাহার উর্বরতাগুণের প্রশংসা করিয়া উঠা যায় না । মিসর দেশে ভারতবর্ষীয় প্রায় সমুদায় শস্য উৎপন্ন হয় । তদ্ব্যতিরেকে ডরা নামে সর্ষপাকার এক প্রকার শস্য জন্মে, ভারতবর্ষে উহ! পাওয়া যায় না। ফলের মধ্যে কমলা ও অন্যান্য প্রকার লেবু, কলা, দড়িম, খেজুর, ও আকরট অতি প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। মিসরে কুত্ৰাপি অরণ্য দেখা যায় না । মিসরে ভয়ঙ্কর জন্তুর মধ্যে কুম্ভীর ও তরক্ষু প্রধান। নীল নদীতে জলহস্তীও অনেক দেখিতে পাওয়া যায়। গ্রাম্য জন্তুর নধ্যে রষ, অশ্ব, উক্ট, মহিষ ও অশ্বতর শ্রেষ্ঠ । এখানকার গর্দভ এরূপ চতুর যে অমুক ব্যক্তি গাপ বলিলে তাহার গালি হয় না। এই দেশে নকুল জাতীয় এক প্রকার জন্তু পাওয়া যায় । সেই জন্তু সতত কুম্ভীরের অণ্ড নষ্ট করিয়া থাকে। এজন্য উহাকে কুম্ভারারি বলিয়া আখ্যাত করা যাইতে পারে। ইঙ্গরেজীতে উহার নাম ইকনোমন । মিসর ভিন্ন অন্য কোন দেশেই কুম্ভীরারিকে দেখা যায় না। এ দেশের চাসার মধুমক্ষিক ও নানা প্রকার পক্ষা পালন করে। তাহারা কৃত্রিম উত্তাপ দ্বারা পাখীর ডিম कूाँंग्र1 १,८दतः । মিসর দেশে নানা জাতীয় লোকের বাস । তন্মধ্যে আরব, কপ্ট, তুরুস্ক ও য়িহুদি ইহারাই প্রকৃত অধিবাসী। আর আর সকলে কোন না কোন কৰ্ম্মোপলক্ষে অবস্থিতি করে, কুৰ্ম্ম সমাধ হইলে স্ব স্ব দেশে চলিয়া যায়। সেই সমুদায় অবস্থায়ীদিগের মধ্যে ফরাশি, ইঙ্গরেজ, জৰ্ম্মন প্রভৃতি ইয়ুরোপীয় জাতিই অধিক ।