[ > ७२ ] মিসরবাসী আরবদিগের অবয়ব প্রকৃত আরবের অধিবাসীদিগের হইতে অধিক ভিন্ন নহে। উভয়ের গঠনেই অনেক সাদৃশ্য নিরীক্ষিত হয়। মৈসর আরবেরা, স্ত্রী পুরুষ উভয় জাতিই, অত্যন্ত ইন্দ্রিয়াসক্ত । পুরুষের কোন নগরে গমন করিলে প্রায়ই বেশ্যাদিগের মন্দির দর্শন না করিয়া ক্ষাস্ত হয় ন। এদিগে স্ত্রীগণ স্ববশ হইলেই সতীত্ব বিসর্জন করে। কপ্টেরা মিসরের আদিম অধিবাসী কিন্তু অধুনা অন্যান্য জাতির সহিত সম্পূর্ণ অমিশ্রিত আছে এমন বোধ হয় না। লাম্পট্য ইহাদেরও প্রতি মুহুর্ভের কলঙ্ক। মৈসর য়িহুদিরা চরিত্র বিষয়ে অন্যান্য দেশীয় য়িহুদিদিগের মত। বিশেষ এই যে, ইহারা অতিশয় দরিদ্র এবং কদৰ্য খায়, কদৰ্ঘ্য পরে ও কদৰ্য্য স্থানে থাকে বলিয়া দেখিতে অতিশয় কদৰ্ঘ্য । নীলতারবত্তী মৈসরদিগের বংশবৃদ্ধি এত অধিক যে উহ! উপমাপপদীভূত হইয়াছে । তথায় এমন বয়স্থ স্ত্রী নাই ব’হার ক্রোড়ে সস্তান দৃষ্ট না হইয় থাকে। মৈসর চাসাদিগের অবস্থা অতিশয় নিকৃষ্ট । এ দেশে চাসাদিগকে ফেলা কহে । দেলারা সকলেই এক ধাতুর ও এক ছাচের মানুষ । ইহার অfত অপরিস্কৃত ও হতন্ত্ৰ কুটীরে বাস করে, তথায় গৃহসজ্জার মধ্যে একটা মাদুর, কয়েকখান মাটির বাসন ও শস্য রাথিবীর জন্য একটা বড় জল এইমাত্র দেখা যায়। পরিচ্ছদের মধ্যে কটীতটে এক খণ্ড শতগ্রন্থি গলিত বস্ত্র জড়াইয়া কোন রূপে লজ্জা রক্ষ করে। ডবার রুটি ও পলাণ্ডু ইহাদের সাধারণ অক্টোর, যে দিন দুই চারিট অগু বা এক খণ্ড কদৰ্য্য মহিষমাংস যুটে সে দিন ভারি ঘট হয়। দারিদ্র্য নিবন্ধন ইহার মিঠু কাল পরাধীন, সুতরাং সচরাচর অতিশয় ভীরু, মুখ ও
