পাতা:ভূগোল বিবরণ - দ্বিতীয় ভাগ (তারিণীচরণ চট্টোপাধ্যায়).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩৩ ] তোষামোদী ; মনের ভাব মনেই রাখে, ব্যক্ত করিতে পারে না , যাহা বল তাহতেই বিশ্বাস, ধৰ্ম্ম নামে ঘাহা শুনিয়াছে তাহাতেই ভক্তি ; কাহারও এমন বুদ্ধি নাই যে, প্রতি অক্ষরে অসম্বন্ধ হইলেও, ধৰ্ম্মকাহিনীর বিন্দুবিসর্গও অমূলক জ্ঞান করে । ধৰ্ম্ম, নীতি ও আচার ব্যবহারে পুত্র চিরকাল পিতৃমতের অনুসরণ করে, ক্ষণমাত্রও কৰ্ত্তব্যাকৰ্ত্তব্যের বিচার বা অনুসন্ধান করে না । ফেলাদিগের সন্তানের বয়ঃসন্ধি পৰ্য্যন্ত উলঙ্গ বেড়ায়, পরে পিতার নিকট হইতে এক খান নেকড়া পায় ও মজুরি করিতে আরম্ভ করে। দুই চারি টাকা হাতে হইলেই বিবাহ করে, কিন্তু প্রকৃত দাম্পত্য প্রীতি কাহাকে বলে স্বপ্নেও জানে না ; কেবল ইন্দ্রিয় তুষ্টিই বিবাহের উদ্দেশ্য, সুতরাং সংসারে রুটি ও ভাত যেরূপ আবশ্যক ইহাদের মতে স্ত্রীও সেই রূপ মাত্র। এ দেশীয় রাজপুরুষেরা এরূপ ধনশোষক যে তাহারা ফেলাদিগের উপরে অহরহ ডাকাইতি করে বলি८लझे क्लग्न । মিসর দেশে প্রাথমিক পাঠশালা, দ্বৈতীয়িক পাঠশালা ও বিশেষ পাঠশালা এই তিন প্রকার বিদ্যালয় সংস্থাপিত হইয়াছে। রাজাজ্ঞানুসারে দেশের প্রত্যেক ভাগ হইতে তৎ সমুদায়ে কতকগুলি নিয়মিত সংখ্যক ছাত্র প্রেরিত হয় । ছাত্রের গ্রাসাচ্ছাদন ও আর আর সমস্ত ব্যয় সরকার হইতে পাইয়া থাকে। প্রথমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম পাঠ্য বিষয় সকল অধ্যয়ন করে, পরে দ্বৈতীয়িক বিদ্যালয়ে যাইয়া বিশেষ বিদ্যালয়ে প্রবেশের নিমিত্ত প্রস্তুত হইতে থাকে । তথায় প্রবেশ করিয়া উত্তরকালে যাহাতে আরবী, তুরুস্ক ও ফরাশি ভাষা হইতে অনুবাদ করিবার ক্ষমতা জন্মে তদুপযুক্ত অধ্যয়ন করে। উপরি উক্ত তিন প্রকার বিদ্যালয় ব্যতিরেকে যুদ্ধবিদ্যা,