বিরক্তি প্রকাশ করিয়া, জিজ্ঞাসা করিলেন, আমার স্বর্ণমুদ্রা কোথায় রাখিয়া আসিলে। পরে, আমি যত গৃহে আসিতে বলি, তিনি ততই বিরক্ত হইতে লাগিলেন এবং আমার স্বর্ণমুদ্রা কোথায়, বারংবার কেবল এই কথা বলিতে লাগিলেন। আমি কহিলাম, আপনি এ পর্য্যন্ত গৃহে না যাওয়াতে, কর্ত্রী ঠাকুরাণী অত্যন্ত উৎকণ্ঠিত হইয়াছেন। তিনি সাতিশয় কুপিত হইয়। কহিলেন, তুই কর্ত্রী ঠাকুরাণী কোথায় পাইলি; আমি তোর কর্ত্রী ঠাকুরাণীকে চিনি না; আমার স্বর্ণমুদ্রা কোথায় রাখিলি, বল।
এই কথা শুনিয়া, চকিত হইয়া, বিলাসিনী জিজ্ঞাসিলেন, কিঙ্কর। এ কথা কে বলিল। কিঙ্কর কহিল, কেন, আমার প্রভু বলিলেন; তিনি কহিলেন, আমার বাটী কোথায়, আমার স্ত্রী কোথায়, আমি কবে কাহাকে বিবাহ করিয়াছি যে কথায় কথায় আমার স্ত্রীর উল্লেখ করিতেছিস্। অবশেষে, কি কারণে বলিতে পারি না, ক্রোধে অন্ধ হইয়া, আমায় প্রহার করিলেন। এই বলিয়া, সে স্বীয় কর্ণমূলে মুষ্টিপ্রহারের চিহ্ন দেখাইতে লাগিল। চন্দ্র প্রভা কহিলেন, তুমি পুনরায় যাও, এবং যেরূপে পার, তাঁহারে অবিলম্বে গৃহে লইয়া আইস। সে কহিল, আমি পুনরায় যাইব এবং পুনরায় মার খাইয়া গৃহে আসিব। বলিতে কি, আমি আর মার খাইতে পারিব না; আপনি আর কাহাকেও পাঠাইয় দেন। শুনিয়া, সাতিশয় কুপিত হইয়া, চন্দ্র প্রভা কহিলেন, যদি তুমি না যাও, আমি তোমায় বিলক্ষণ শিক্ষা দিব; যদি ভাল চাও, এখনই চলিয়া যাও। কিঙ্কর