পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 প্রবন্ধ-পাঠ । হইলেন । তৎকালে রণজিৎ সিংহ কয়েক জন সমর-কুশল ফরাসী সেনাপতির সহিত রাজ্য সম্বন্ধে কি পরামর্শ করিতে ছিলেন । পুণ্যায়৷ সন্ন্যাসীকে দেখিয়া মহারাজ সসন্ত্রমে গাত্ৰোখান করিয়া তাহাকে যথোচিত আসন প্রদান করিলেন ; এবং তুই এক কথার পর ফরাসী সেনাপতি দিগকে বিদায় দিয়া সাধুর দিকে এক দৃষ্টিতে চাহিয়৷ রহিলেন । তখন ধ্যানসিংহ হরিদাসকে সমাধির পূর্বানুষ্ঠান করিতে বলিলেন । হরিদাস বলিলেন “মহাশয়, আমার এক নিবেদন আছে । এবার আমাকে মৃত্তিকার ভিতরে পুতিয়া রাখিবেন না । কারণ, তাহাতে আমার প্রাণের আশঙ্কা ডাছে । আমি যখন পুষ্করে মৃত্তিকার ভিতর তিন মাস প্রোথিত ছিলাম, তখন কীটে আমার শরীর খাইয় দিয়াছিল। দেখুন এখনও তাহার শুষ্ক ক্ষত-চিহ্ন রহিয়াছে। আপনি আমাকে একটা লৌহ-সিন্ধুকে আবদ্ধ করিয়া একটা বৃহৎ গাছে ঝুলাইম রাখুন ; তাহ হইলেই আপনার সন্দেহ ভঞ্জন হইবে।” কিন্তু রণজিৎ সিংহ তাহার প্রস্তাবে সম্মত ন হইয়া মুক্তিকায় প্রোথিত থাকিবার জন্য তাহাকে পুনঃ পুনঃ অনুরোধ করিতে লাগিলেন । উপায়ান্তর না দেখিয়া হরিদাস আশ্রমে গিয়া সমাধির পূর্বানুষ্ঠান করিতে লাগিলেন। তাহার জিহবার নিম্নদেশ কাটা ছিল। কারণ, সমাধির সময় জিহব উলটইতে হইলে চৰ্ম্ম কাটির জিহ্ব আলগ করা আবশুক । প্রত্যহ অল্প মাত্রায় জঙ্গী হীরতকী প্রভৃতি মৃহ বিরেচক দ্রব্য গুলি সেবন করিয়া দেহের ক্লেদ পরিষ্কার করিতেন। স্বর্ষেময়ের পূর্বে র্তাহার প্রত্যহ প্রাতঃস্নানের নিয়ম ছিল।