পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিন্দুজাতির রোগবল ও হরিদাস যোগী । ৪৫ মানের পূৰ্ব্বে মুখের ভিতর এক খানি স্বল্প বস্ত্র পুরিয়া দিয়া তিনি অন্ননালী ও পাকস্থালী পরিস্কৃত করিয়া আনিতেন । অস্ত্র পরিকৃত করিবার জন্ত নবদ্বারের যে কোন দ্বার দিয়া জল টানিয়া লইয়া অন্ত ভার একটী দ্বার দিয়া জল বাহির করিয়া দিতেন । আহারের মধ্যে জল-মিশ্রিত অর্জসের ছঙ্ক। প্রথম দিন নিত্য অভ্যাসের অনুবত্তী হইয়া, খাটি অৰ্দ্ধসের তুষ্ক পান করিলেন । দ্বিতীয় দিনে তাহাতে কিঞ্চিৎ জল মিশাইলেন । এই রূপে ক্রমে ক্রমে ষষ্ঠ দিবস পৰ্য্যন্ত জলের ভাগ অধিক করিয়া দুগ্ধের ভাগ অল্প করিতে লাগিলেন । সপ্তম দিবসে হরিদাস নিরস্তু উপবাস করিয়৷ রহিলেন । অষ্টম দিবস উপস্থিত হইল । হরিদাস মহারাজের রাজসভায় আসিয়া কহিলেন "মহারাজ, আমি প্রেস্তুত হইয়াছি, অনুমতি পাইলেই সমাধিস্থ হইয়া মৃপ্তিকায় প্রবেশ করি” । রাবী নদীর তীয়ে একটী সুরম্য উদ্যান ছিল । ইহার নাম সর্দার গওল৷ সিংহ ভরনীয়াওয়াল । এই উস্তানের মধ্যে একটী বার দ্বারী স্থান আছে। মহারাজ সন্ন্যাসীকে সেই স্থানে লইয়া যাইতে আদেশ করিলেন । স্বয়ং রণজিৎ সিংহ, তাহার পুত্র কোরক সিংহ ও পৌত্র নবনিহাল সিংহ, সেরiসংহ, সুচেতসিংহ, মন্ত্রী ধ্যানসিংহ, কোষাধ্যক্ষ বলরাম মিশ্র এবং ভেঞ্চুর প্রভূতি কয়েক জন সাহেব হরিনাসের পশ্চাৎ পশ্চাৎ চলিলেন । তখন হরিদাস কহিলেন “ধৰ্ম্ম সাক্ষী রহিলেন ; দেখিবেন, যেন আমাকে চল্লিশ দিনের অধিক মৃত্তিকায় পুতিয়া রাখা না হয়।” মহারাজ তাহাকে আশ্বাস দিয়া