পাতা:মলিন মালা - গিরিশচন্দ্র ঘোষ.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

为级娜 &वंदशं-*ॉर्ट । রোধ রক্ষা করিতে পায়িলেন না । গুণগ্রাহী, হৃদয়বান, উৎসাহবৰ্দ্ধক মহারাজও প্রসাদের অস্বীকারে অধিকতর প্রীত হইয়। উহাকে ১•১ বিষ নিষ্কর ভূমি ও "কবিরজন” উপাধি প্রদান করিলেন । ত্ৰিশ টাকা মাসিক বৃত্তি ও এক শত বিঘা নিষ্কর ভূমি প্রাপ্ত হওয়াতে রামপ্রসাদের জায় বিলক্ষণ বৃদ্ধি পাইয়৷ উঠিল। কিন্তু আয় বৃদ্ধি হইল বলিয়া যে তিনি পুনর্বার বিষয়বাসনায় প্রলিপ্ত হইবেন, তাহ এক দিনের জন্তও ভাস্কার মনে স্থান পায় নাই । মহতের উদ্দেশ্য মহৎ, এবং মহতের অর্থ নিজার্থ অপেক্ষা পরার্থেই অধিক ব্যয়িত হইয়া থাকে। দরিদ্রের দারিদ্র্যদুঃখ দর্শন করিলে রামপ্রসাদের হৃদয় ব্যথিত হইয়া উঠিভ। যাহা কিছু র্তাহার হস্তে থাকিত, অমনি তাহা তিনি দান করিয়া ফেলিতেন । রামপ্রসাদ বড় কৃতজ্ঞ ছিলেন । তিনি মহারাজের নিকট হইতে মাসিক বৃত্তি ও ভূমিলাভ করিয়া কৃতজ্ঞতার পরিচয় প্রদান করিতে নিশ্চিত্ত রহিলেন না । কিন্তু তিনি স্বয়ং দরিদ্র । মহারাজকে কিরূপ প্রতিদান করবেন, তাহ তিনি ভাবিধ পাইলেন না । তিনি দেখিলেন, মহারাজ ধৰ্ম্ম গ্রন্থ অপেক্ষ অধিকতর কাব্য-প্ৰিয এবং কবিত্ব-শক্তির সবিশেষ গুণগ্রাহী । এজন্ত তিনি মহারাজের রুচি ও উদ্দেষ্ঠ অনুসারেই “কবিরঞ্জন বিদ্যান্থন্দর” নামক এক খানি কাব্য প্রণষণ করিয়া মহারাজকে উপহার প্ৰেদান করেন। রামপ্রসাদের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ “কালীকীৰ্ত্তন” । "কালী-কীৰ্ত্তম” যে সর্বশ্রেষ্ঠ হইবে, তাহ জার বিচিত্র কি ! যিনি সমস্ত জীবন কালীকুীৰ্ত্তনেই অতিবাহিত করিয়াছেন, তাছার “কালী-কীৰ্ত্তন” সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ না হওয়াই বিস্ময়