পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*N “দেশের জমীদার যদি হয় মুসলমান। বন্দের চাকর বলি লিখিবে সেলাম ॥” কিন্তু তখন এ দেশে ইংরাজ-প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে । আমরা পুত্রের পত্রে দেখিতে পাই—“এখানে ঐযুক্ত সাহেব লোকের অন্যান্ত দেশীয় বিবরণ ছাপাইয়া পাঠশালাতে দিয়াছেন, আমরা সেই সকল শিক্ষা করিতেছি, ইহাতে নানা প্রকার উপকার জন্মে এবং সভাতে অনেক প্রকার কথার উত্তর প্রত্যুত্তর করা যায়।” যখন বাঙ্গালী ভাষার ও বাঙ্গাল সাহিত্যের এই অবস্থ। তখন সহস৷ ইংরাজনীত সাহিত্যের পরিচয় পাইয়া—কাবো নাটকে উপন্যাসে সন্দর্ভে সৰ্ব্বাবয়বসম্পন্ন চারুসৰ্ব্বাঙ্গ লাবণ্যপৌরুষসন্মিলনসুন্দর ইংরাজী সাহিত্য পাইয়। বাঙ্গালীর পক্ষে মুগ্ধ না হওয়াই বিস্ময়ের বিষয়। ইংরাজ যে সভ্যতা ও যে ধৰ্ম্ম আনিয়াছিলেন, সে সভ্যতা সাম্যবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত, সে ধৰ্ম্ম সাম্যবাদমূলক-পরস্তু ক্রিয়াকৰ্ম্মভারাক্রান্ত নহে। পাঠান শাসনের পূৰ্ব্বে ক্রিয়াকাণ্ডবহুল হিন্দু ধৰ্ম্মের মূল সরল সত্যের সন্ধান না পাইয়া এবং বর্ণবিভাগের কারণ ও উপযোগিতা বুঝিতে না পারিয়া অনেক হিন্দু যেমন ইসলাম ধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল, এখন আবার সেইরূপ কারণে অনেক হিন্দু নূতন সভ্যতার ও নূতন ধৰ্ম্মের প্রতি আকৃষ্ট হইলেন। উৎসাহের আতিশয্যে র্তাহার। সমাজের সংস্কার কুসংস্কার জ্ঞান করিয়া যথেচ্ছাচার করিতে লাগিলেন। নূতন শিক্ষিত সম্প্রদায়ের উচ্ছঙ্খল আচরণে সমাজ সন্ত্রস্ত হইয়া উঠিল। প্রাচীন ব্যক্তির সমাজের ভবিষ্যৎ ভাবিয়া দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হইলেন । ইংরাজ যে শিক্ষা আনিলেন ও দেশে ছড়াইয়া দিলেন, সে শিক্ষা বাঙ্গালীর নিকট নূতন উন্নতির দ্বার মুক্ত করিয়া দিল। ইংরাজ বিদ্যাবলে জড়প্রকৃতিকে পরাভূত করিয়৷ পৃথিবীর নানাস্থান হইতে ধন আহৃত