পাতা:মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•له অধুনা পরিচিত বিপণি ব্যতীত অন্ত স্থল হইতে অপরিচিত ব্যক্তি কর্তৃক আহত উপকরণাদি ব্যবহার করিতে শিল্পিগণ ইতস্ততঃ করেন। সেইজন্য বর্তমান কালের রীত্যনুসারে একজন লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্য-শিল্পীর পরিচয়-পত্র বা ভূমিকা গ্রন্থের প্রারম্ভে সংযুক্ত হইল। এই ভূমিকা লিথিয় তিনি আমাকে অপরিসীম ঋণে আবদ্ধ করিয়াছেন। পরম পূজনীয় পণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত মুরেশচন্দ্র সমাজপতি মহাশয় স্নেহপরবশ হইয়া এবং যথেষ্ট পরিশ্রম স্বীকার করিয়া আদ্যোপান্ত এই পুস্তকের প্রফ ও স্থানে স্থানে ভাষা সংশোধিত করিয়া দিয়াছেন। বাচনিক কৃতজ্ঞতাপ্রকাশদ্বারা তাহার স্নেহের ঋণ হইতে আপনাকে মুক্ত করিতে চেষ্টা পাইব না। - পরিশেষে বক্তব্য এই যে, যথেষ্ট যত্ন সত্ত্বেও এই ক্ষুদ্র পুস্তকখানিকে একেবারে নিভুল করিতে পারি নাই। তবে ভুলগুলি অনায়াসেই সুধী পাঠকবর্গ সংশোধিত করিয়া লইতে পরিবেন, এই বিবেচনায় কোনও শুদ্ধিপত্র সন্নিবেশিত হইল না। একটা লিপি প্রমাদ উল্লেখযোগ্য ; ৩• পৃষ্ঠায় দশম পংক্তিতে “e••• পঞ্চ সহস্র"র পরিবর্তে “e••N পঞ্চ শত” পঠিত হওয়া উচিত। আর একটি ভুল এন্থলে সংশোধিতব্য। জীবনচরিতের ১৭ পৃষ্ঠায় লিখিত হইয়াছে যে, সম্ভবতঃ ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দে বিদ্যোৎসাহিনী সভা প্রতিষ্ঠিত হয়। আমরা পরে . জানিতে পারিয়াছি যে ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দে উহা স্থাপিত হইয়াছিল। কারণ, ১৮৫৬ খৃষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে (বাঙ্গালা ১২৬২ সালে ৭ই মাঘ দিবসে উহার প্রথম বাৎসরিক সভার অধিবেশন হইয়াছিল। সংবাদ প্রভাকরে উহার বিষয়ে যাহা লিখিত হইয়াছিল তাহ কৌতুহলী পাঠকগণের অবগতির জন্য নিয়ে উদ্ধৃত হইল ঃ–