পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কারাকাহিনী।
২৯

ট্রান্সভালের প্রাচীন হিন্দু অধিবাসীগণের মধ্যে যাঁহারা নোটালে শিক্ষা সমাপ্ত করিয়াছেন, তাঁহাদিগকে সঙ্গে লইয়া আসিবার উদ্দেশ্যেই আমি ডারবানে গিয়াছিলাম। আশা ছিল যে নোটালের নেতৃবৃন্দের অভাবে অনেক ভারতীয়ই সেখান হইতে আসিতে প্রস্তুত হইবেন। সরকারেরও এই ভয় ছিল। তাই বোকাসরোষ্ট্রর জেলার, একশতের অধিক ভারতীয় কয়েদীর জন্য ব্যবস্থা করিবার আদেশ পাইয়াছিল। তদনুসারে প্রিটোরিয়া হইতে তাঁবু, কম্বল, বাসন ইত্যাদি ও পাঠান হইয়াছিল। যখন আমি অনেকগুলি ভারতবাসীর সহিত বোকাসরষ্টে নামিলাম, তখন আমার সহিত অনেক পুলিস ছিল, কিন্তু তাহাদের সকল দৌড় ধাপ ব্যর্থ হইল। জেলার ও পুলিসকে নিরাশ হইতে হইল, কারণ ডারবান হইতে আমার সঙ্গে অতি অল্প ভারতবাসীই আসিয়াছিলেন। সেই গাড়ীতে মাত্র ৬ জন ছিলেন, এবং সেই দিন অন্য ট্রেণে আরও ৮ জন আসিয়াছিলেন। অর্থাৎ সর্ব্বসমেত ১৪ জন ভারতবাসী আসিয়াছিলেন। সকলকেই গ্রেপ্তার করিয়া জেলে লইয়া যাওয়া হইল। দ্বিতীয় দিন আমাদের সকলকে ম্যাজিষ্ট্রেটের সামনে লইয়া যাওয়া হইল। কিন্তু মোকদ্দমা ৭ দিনের জন্য মুলতুবী করিয়া দেওয়া হইল। বলদের উপর বসিয়া যাইতে আমরা অস্বীকার করিয়াছিলাম। দুই দিন পরে মিঃ ভাণ্ডজীী করষণজী কোঠারী আসিলেন। তিনি অৰ্শ রোগে কষ্ট পাইতে ছিলেন। অসুখ বাড়িয়া ওঠাতে এবং বোকাসরষ্টে পিকেটিং এর প্রয়োজন বোধে তিনি জামিন দিয়া খালাস হইলেন।

জেলে আমাদের অবস্থা।

 আমরা যখন জেলে পৌঁছিলাম, তখন মিঃ দাউদ মহম্মদ, মিঃ রুস্তমজী, মিঃ আঙ্গলিয়া (যাঁহার সহায়তায় এই আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায়ের আরম্ভ),