পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় (সচিত্র) - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত মীমাংসামতে কৰ্ম্ম ; পাতঞ্জলমতে যোগ, অর্থাৎ যোগীরূপ কৰ্ম্ম । সেইজন্য, পাদ্রিসাহেব পাতঞ্জলমতকে মীমাংসামতের অন্তৰ্গত বলিতেছেন । সুতরাং ত্যাহার মতানুসারে, মীমাংসামতের বিরুদ্ধে যে সকল আপত্তি হইতে পারে, তাহ পাতঞ্জলমতেও অবশ্য খাটে । রাজা রামমোহন রায় এই সকল কথার উত্তরে বলিতেছেন যে, পাতঞ্জলমতে যোগসাধনদ্বারা সৰ্ব্ব দুঃখ নিবারণ হইয়া মুক্তি হয়। উক্ত মতানুসারে, ঈশ্বর নির্দোষ, অতীন্দ্ৰিয়, চৈতন্যস্বরূপ ও সর্বাধ্যক্ষ । মীমাংসামিতে কৰ্ম্ম দ্বারা ভোগ হয়, পাতঞ্জলমতে যোগসাধনদ্বারা মুক্তি। একটি সকাম কৰ্ম্মমাৰ্গ আর একটি ব্ৰহ্মযোগ বা অধ্যাত্মযোগমাৰ্গ । সুতরাং পাতঞ্জলকে মীমাংসামিতে ভুক্ত করা, কখন যুক্তিসিদ্ধ হইতে পারে না । সাংখ্যদর্শন প্রকৃতি ও পুরুষমতে ব্ৰহ্মের একত্ব রক্ষিত হয় কি না ? পাদ্রিসাহেব সাংখ্যমতে এই দোষ দেন যে, উক্ত মতে প্ৰকৃতি ও পুরুষ চনকদিলের ন্যায় । পুরুষেরই প্ৰাধান্য। তিনি অরূপী ব্ৰহ্ম ; সুতরাং এই মতে ঈশ্বরের একত্ব রক্ষিত হয় না। ইহাতে ঈশ্বরের দ্বৈতভাব। রামমোহন রায় এই আপত্তির উত্তরে বলিতেছেন যে, অদৃশ্য ব্যাপক প্ৰকৃতি, কাৰ্য্যোৎপত্তি বিষয়ে ও বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহে, চৈতন্যের অধীন। অতএব চৈতন্যেরই প্ৰাধান্য । সুতরাং চৈতন্যই কেবল ব্ৰহ্ম । এ বিষয়ে সাংখ্যমতেও দ্বৈতবাদ কি সাকারবাদ নাই। তবে