পাতা:মহাত্মা রাজা রামমোহন রায় - নগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩০ মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের জীবনচরিত। শ্ৰোতব্য হইতেন না ; এবং আপনকার যে মতে বেদ অবিচারণীয় হয়েন, সে মতে, পুৱাণাদি সাক্ষাৎ বেদ হইলে তাহাও অবিচারণীয় হইতে পারে। তবে যে, বেদের তুল্য করিয়া পুরাণে, পুরাণকে কহিয়াছেন, এবং মহাভারতে, ভারতকে বেদ হইতে গুরুতর লিখেন, আর আগমে আগমকে, শ্রুতি, স্মৃতি, পুরাণ এ সকল হইতে শ্রেষ্ঠ করিয়া কহেন, সে পুরাণাদির প্ৰশংসামাত্র ; যেমন, “ব্ৰতানাং ব্ৰতমুত্তমং” অর্থাৎ প্রায় প্রত্যেক ব্ৰতের ংসায় কহিয়াছেন, এ ব্ৰত অন্য সকল ব্রত হইতে উত্তম হয়েন ; আর যেমন, পদ্মপুরাণে শ্ৰী রামচন্দ্রের অষ্টোত্তরশত নামের ফলে লিখিয়াছেন; “রাজানো দাসতাং যান্তি বহৃয়ে যান্তিশীততাং” এই স্তবের পাঠ করিলে রাজা সকল দাসত্ব প্রাপ্ত হন, আর, অগ্নি সকল শীতল হন। যদি এ বাক্য প্ৰশংসাপর না হইয়া যথার্থ হইত, তবে এ স্তব পাঠ কবিয়া অগ্নিতে হস্তপ্ৰদান করিলে কদাপি হস্ত দগ্ধ হইত না। আর দ্বাদশীতে পুতিক ভক্ষণ করিলে ব্ৰহ্মহত্যার পাপ হয়, এমত স্মৃতিতে কহিয়াছেন। সে নিন্দাদ্বারা শাসনপর না হইয়া যদি যথাৰ্থ ব্ৰহ্মহত্যা হয়, তবে পুতিকা ভক্ষণের প্রায়শ্চিত্ত না করিয়া ব্ৰহ্মহত্যার প্রায়শ্চিত্ত কেন না করে? এইরূপে, ঐ সকল বাক্য কোন স্থানে প্ৰশংসাপর, কোন স্থানে বা শাসনপর হয় । শ্ৰীভাগবত বেদান্তসূত্রের ভাষ্য কিনা ? গোস্বামী লিখিয়াছেন যে, বেদান্তসূত্র অতি কঠিন। ভগবান BBDB BBE ggD DDD BB uBDDS DBBDD DBD DJ0 বেদান্তসুত্রের ভাষ্যস্বরূপ এবং মহাভারতের অর্থস্বরূপ শ্ৰীভাগবত মহাপুরাণ রচনা করিয়াছেন। গােস্বামী এ বিষয়ে গরুড় পুরাণের প্রমাণ দিয়াছেন। তাহা এই ;-