পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাসাগর
ভূষণ প্রথমা পত্নী বিয়োগের পর শোকসন্তপ্ত চিত্তের সান্ত্বনা ও ভবিষ্যৎ জীবনযাপনের ধারা সম্পর্কে আমার সহিত আলাপ আলোচনা করিতে আসেন। যোগেন্দ্রের আত্মীয় স্বজনের ইচ্ছা, তিনি আবার বিবাহ করেন ।
বিধবা বিবাহের অনিবাৰ্য্য প্রয়োজনীয়তা তখন দেশের প্ৰায় প্রত্যেক তরুণের মনেই আলোড়নের সৃষ্টি করিয়াছে । যোগেন্দ্ৰ বললেন, তিনি বিধবা বিবাহ করিবেন বলিয়া মনস্থ করিয়াছেন । বলা বাহুল্য, এই উদার মনোবৃত্তিকে আমি খুবই প্ৰশংসা করিলাম । সৌভাগ্যক্রমে একটি মনোমত হিন্দুবিধবা কন্যা ও জুটিল । কিন্তু সে সময়ে রক্ষণশীল সম্প্রদায় এতই বিরোধী হইয়া উঠিয়াছে যে, স্বাধীন ভাবে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে সাহস পাইলাম না। তাই অবশেষে বিপদের বন্ধু ঈশ্বরচন্দ্রের শরণাপন্ন না হইয়া উপায় রহিল না ।
আমাদের এই প্ৰচেষ্টার কথা শুনিয়া বিদ্যাসাগর মহাশয়ের আনন্দ আর ধরে না । পুরোহিত আনয়ন হইতে আরম্ভ করিয়া নিমন্ত্রিতদের ভূরিভোজন ও নবদম্পতির প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উপহার ইত্যাদি সকল কিছুর বায়ভার সানন্দে গ্ৰহণ করিলেন। বিবাহের প্রথম হইতে শেষ পৰ্য্যন্ত সমস্ত দ্বায়িত্ব লইয়া তিনি এমনই ব্যস্ত হইয়া রহিলেন যে, দেখিয়া মনে হইল কন্যাদায় যেন তাঁহারই।
কিন্তু তিনি যে কেবল কঠোর কর্ত্তব্যনিষ্ঠ ছিলেন তাহাই নহে, তাঁহার রসবোধও বড় সূক্ষ্ম ছিল । একটি ঘটনার উল্লেখ