পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস না । বালিকা সারদা দেবী গ্রামের বাড়ীতে বাস করিতেন। পত্নী সম্পর্কে তঁহার এরূপ উদাসীনতাকে আমি সে সময় মোটেই সঙ্গত বলিয়া মানিয়া লইতে পারি নাই বরং স্ত্রীর প্রতি আকৰ্ত্তব্যের অভিযোেগই সেদিন উঠাইয়াছিলাম । একদিন আমি দক্ষিণেশ্বরে তঁহার কক্ষে উপস্থিত । আমার কয়েকজন বন্ধুর সম্মুখে পরমহংসের দাম্পত্য জীবনের কৰ্ত্তব্যচু্যতি সম্পর্কে আলোচনা করিতেছি। সাধক কিন্তু আমাদের পার্থেই উপবিষ্ট। আমার অভিযোগপূর্ণ উক্তি শুনিয়া তিনি আমাকে তাহার নিকটে ডাকিয়া কাণের নিকট মুখ লইয়া বলিলেন—তুমি শুধু শুধু এ নিয়ে কেন আন্দোলন ক’রছে । আমার দ্বারা জৈব জীবন যাপন যে আর সম্ভব নয় । নিজের দেহের প্রতি অঙ্গুলি সঙ্কেতে বলিলেন-এ দেহ থেকে জীব-জীবনের কামনা বাসনার মূল উৎপাটিত হয়ে গিয়েছে।--তাহার এ উক্তির সত্যিাকার তাৎপৰ্য্য। কিন্তু বুঝি নাই । এই ঘটনার কয়েকদিন পরে পুনরায় রামকৃষ্ণের উপদিষ্ট কামিনীকাঞ্চন ত্যাগের অযৌক্তিকতা লইয়া আমার সাথে বিতর্ক হয়। প্ৰসঙ্গতঃ আমি বলিলাম-আপনি ধৰ্ম্ম জীবন থেকে নারী বর্জনের যে নীতি নিদ্ধারণ করেছেন তা অনুচিত । ব্ৰাহ্ম সমাজ কিন্তু তা করেনি। ব্ৰাহ্মধৰ্ম্মে নারী শিক্ষা, নারী প্ৰগতি, সমাজে তাদের ন্যায্য অধিকার প্রদান সম্বন্ধে আন্দোলন চলছে। So > 6 ●