পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের ক্ষেত্র থেকে নারীসঙ্গ পরিহারেব নীতি কোন ক্ৰমেই গ্ৰহণীয় হতে পারে না । তাহার নির্দেশিত পথ সম্পর্কে অভিযোগ ও ব্রাহ্মধৰ্ম্মের ব্যবস্থা শুনিয়া পরমহংস তো উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন । তঁহার এই শিশু-সুলভ ক্রোধের রূপটি আমায় বড় আনন্দ দিত, কারণ, সে ক্ৰোধে তীব্ৰতা ছিল। কিন্তু তিক্ততা ছিল না । তিনি উচ্চকণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন-মুখের দল ! এই নারীরাই তোমাদের জন্য সৰ্ব্বনাশা গৰ্ত্ত খুড়ে রাখছে। কথা বলিতে বলিতে তিনি হঠাৎ স্তব্ধ হইয়া গেলেন। তারপর উজ্জল তীক্ষ দৃষ্টিটি আমার মুখের উপর নিবদ্ধ করিয়া বলিতে লাগিলেন -আচ্ছ। একজন মালাৰ কথাই ধর । যখন সে তার বাগানে ফুল গাছের চারা পোতে, তখন গরু ছাগলের হাত থেকে ওটাকে রক্ষা করার জন্য কি সে আবার বেড়া দেয় না ? শিশু গাছটি যখন বড় হয়ে ওঠে, তখন মালী নিজেই সে বেড়া খুলে ফেলে দেয়। আমি বলিলাম-আপনার কথা যথার্থ, কিন্তু ওটা তো মালার বৃক্ষরোপণের কথা মাত্র । মানুষের জীবনের ক্ষেত্রে তার যৌক্তিকতা কোথায় ? --মানুষের আধ্যাত্মিক জীবন সম্পর্কেও সেই একই নিয়ম খাটে। আধ্যাত্মিক জীবনের প্রথম ভাগে নারীসঙ্গ সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ কর। মনকে একান্তভাবে ঈশ্বরে সমর্পণ করে কঠোর ব্ৰহ্মচৰ্য্য পালন কর ও আত্মশক্তিতে প্ৰতিষ্ঠিত হও, তারপর নারীদের সাথে মেলামেশা কর । তার পূর্বে নয়। S 8V