পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ এক আলোড়নের সৃষ্টি করে। আমাদের সমগ্র পরিবারটিই এই অপ্রত্যাশিত ঘটনায় মুহামান না হইয়া পারে নাই। আমার মায়ের দৃঢ় ধারণা ছিল, আমাকে কেহ যদি ফিরাইতে পারেন, তিনি একমাত্ৰ মাতুল দ্বারকানাথ ! তিনি তাই চিংড়িপোতায় মামার নিকট ছুটিয়া আসিলেন ; আমাকে সেখানে ডাকিয়া লইয়া যাওয়া হইল। এমনিতে যত দৃঢ়চেতাই হই না কেন, মাতুলের সম্মুখীন হইতে মনে মনে ভীত হইয়া উঠিলাম । দ্বারকানাথ তাহার অধ্যয়নকক্ষে আমায় ডাকিয়া পাঠাইলেন। ঘরে ঢুকিয়া দেখি তিনি প্ৰশান্তভাবে বসিয়া আছেন, মুখে কোন প্ৰকার অস্বাচ্চন্দ্য বা অসন্তোষের চিহ্নমাত্ৰ নাই । আমি যাইতেই আমায় বসিতে বলিলেন এবং ধীর কণ্ঠে আমার ধৰ্ম্ম স্তর গ্রহণের অযৌক্তিকতা বুঝাইতে লাগিলেন। তাহার যুক্তি এত দৃঢ় ও অকাট্য যে আমার পক্ষে তাহা খণ্ডন করা একপ্রকার দুরূহষ্ট ছিল, কিন্তু তবুও আমি তাহার প্রস্তাবে সম্মত হইতে পারি নাই। বলা বাহুল্য, মাতুল আতিশয় দুঃখিত হন। পরে শুনিলাম, তিনি আমার পিতাকে পত্রে জানাইয়াছেনশিবনাথ মানসিক বিকাবে ভুগছে বলেই আমার বিশ্বাস। তার ধৰ্ম্মোন্মাদনা যুক্তিতর্কের সীমার বাইরে। বুঝিয়ে-শুনিয়ে তাকে এ পথ হতে প্ৰতিনিবৃত্ত করা যাবে না । সেদিন নিজ জীবনের গতিবেগে অপরের কথা ভাবিবার অবসর পাই নাই, কিন্তু পরবত্তীকালে মাতুলের সেই প্ৰশান্ত গম্ভীর মূৰ্ত্তির স্মৃতি বহু সময়ই আমায় ব্যথিত করিয়াছে। (R ૨૨ .િ