পাতা:মহানপুরুষদের সান্নিধ্যে - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহান পুরুষদের সান্নিধ্যে মুখমণ্ডলে এক অপার্থিব উজ্জলতা ফুটিয়া আসিল, মস্তকের কেশরাশি যেন এক অনিৰ্ব্বচনীয় পুলকে রোমাঞ্চিত হইয়া উঠিল । তিনি বলিয়া চলিলেন, আর আমি বিস্ময় বিস্ফারিত নোত্রে তাহার প্ৰতি চাহিয়া রহিলাম । অতঃপর আমার প্রতি চাহিয়া মহৰ্ষি প্রশান্ত কুণ্ঠ বলিলেনআজ তোমার সামনে যে কথাগুলি বলছি তা তুমি বহুবার শুনেছি, এমনকি নিজেও একাধিকবার উচ্চারণ করেছি। কিন্তু তুমি জান কি, এই শব্দের অন্তরালে কি গভীর সত্য নিহিত রয়েছে ? আমার সমগ্ৰ চিত্ত এই সত্য রসে মধুময় হয়ে উঠেছে।-- সেদিন তাহার বাক্যের সত্যতা উপলব্ধি করিলাম। মনে হইল, এতকাল শব্দ উচ্চারণই করিয়াছি মাত্ৰ, ইহার নিহিতার্থ কোনদিন উপলব্ধি করি নাই । একদিন মহর্ষি দেবেন্দ্ৰনাথ পাশী কবি হাফিজের লিখিত কবিতা পাঠ করিতে করিতে হঠাৎ ভাবস্থ হইয়। অনুচ্চ কণ্ঠে বলিয়া উঠিলেন, -“আমার নিজের মধ্যেই আমি হাফিজের উপস্থিতি অনুভব করছি, এক এক সময় আমার নিজেকেই হাফিজ বলে মনে হয়। --জীবনে তথ্য লইয়া আমাদের কাজ, ভাবজীবনের খবর বড় একটা জানিতাম না । কিন্তু মহষির উপলব্ধ সত্যের আলোয় নূতন করিয়া যেন ভাবজীবনের সন্ধান পাইলাম। নিজেকে ধন্য মনে হইল । একদিন মহৰ্ষির সম্মুখেই আমি একটি আধ্যাত্মিক সংজ্ঞতার 8