পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । . এই সংবাদ দেশদেশান্তর প্রচার হইলে অনেকনেক রাজপুত্র বিদ্যালাভে লোভি হইয়। বৰ্দ্ধমানে আসিলেন কিন্তু শাস্ত্র বিদ্যায় পরাভূত হইয়া ভগ্ন মনোরথ হওত সকলে স্ব স্ব দেশে প্রত্যাবর্তন করিলেন। অবশেষে দক্ষিণ দেশস্থ কাঞ্চিপুরের গুণর্সিস্কু মহারাজার তনয় মুন্দর নামে অতিশয় রূপবান এবং সৰ্ব্ব শাস্ত্রে মহামহোপাধ্যায় এক যুবা পুরুষ দূত মুখে এই সংবাদ পাইয়। পিতা মাতাকে না কহিয়৷ বৰ্দ্ধমানে অসিলেন এবং হীরা নামে এক মালিনীর বাটীতে প্রচ্ছন্ন বেশে বাস। করিয়া রহিলেন। সেই সুন্দর সুড়ঙ্গ কাটিয় বিদ্যার নিকট যাইয়। শাস্ত্র বিচারে জয়ী হইয়। বিদ্যাকে গন্ধৰ্ব্ব বিবাহ করেন। ইহার বিস্তার চোর পঞ্চশত নামক গ্রন্থে আছে । মহারাজ ! এ সেই সুড়ঙ্গ ? রাজা মানসিংহ আজ্ঞ করিলেন, সে গ্রন্থ অনিয়া আমাকে শুনাও ? রায় মজুমদার চোর পঞ্চাশং শ্লোক আনাইয়। যাবতীয় বৃত্তান্ত শ্রবণ করাইলেন । পশ্চাৎ রাজা মানসিংহ বৰ্দ্ধমান হইতে গমন করিয়৷ বিবেচনা করিলেন যে, ভবানন্দ রায়মজুমদারের বাটী দেখিয়া যাইব । রায়মজুমদারকে কহিলেন, আমি তোমার বাটী হইয়া যাইব । রায়মজুমদার যে আজ্ঞ বলিয়। পরম হৃষ্ট হইলেন । রাজা মানসিংহ বাগুয়ান পরগণায় উপস্থিত হইয়। ভবানন্দ রায়ের বাটীতে উপনীত হইলেন । রায়