পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ১৩ মজুমদার নানা জাতীয় ভেটের সামগ্রী রাজার সম্মুখে আনিলেন, রায় মজুমদারের আহাদ ও সমগ্রীর আয়োজন দেখিয়া রাজা মানসিংহের অত্যন্ত তুষ্টি জন্মিল। ইতিমধ্যে অতিশয় ঝড় বৃষ্টি উপস্থিত হইল, রাজা মানসিংহের সঙ্গে নয় লক্ষ সৈন্য, খাদ্য-সামগ্রীর কারণ মহাব্যস্ত, রায়মজুমদার যাবতীয় সৈন্যের আহার পরগণা হইতে এবং নিজলয় হইতে দিলেন । সপ্তাহ এই প্রকার ঝড় রষ্টি হইল, কিন্তু ভবানন্দের আশ্রয়ে হস্তি ঘোটক পদাতিক প্রভৃতি কাহারও কিছু ক্লেশ হইল ন; ইহাতে রাজা মানসিংহ ভবানন্দ রায়মজুমদারের প্রতি অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়। কহিলেন যদি ঈশ্বর আমাকে জয়ী করিয়৷ আনেন, তবে তোমর এ উপকারের প্রভূপকার করিব। পশ্চাৎ যশোহরে গমন করিয় রাজ প্রতাপাদিত্যকে শাসিত করিয়৷ কিছু দিন পরে ঢাকায় প্রস্থান করিলেন । ভবানন্দ রায়মজুমদার মানসিংহের সহিত যাত্র করিলেন । এক দিবস রাজা মানসিংহ, রায়মজুমদারকে কহিলেন , তুমি আমার অনেক সাহায্য করিয়াছ ; অতএব তোমার কোন বাসনা থাকে আমাকে কহ, আমি তাহ পূর্ণ করিব। ইহা শুনিয়। রায় মজুমদার নিবেদন করিলেন,যদি আমার প্রতি অনুগ্রহ করেন,তবে বাগুয়ান পরগণা আমার জমিদারী আজ্ঞা হয়। রাজা মা