পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত । নসিংহ স্বীকার করিয়া কহিলেন যে, ঢাকায় উপস্থিত হইয়। অগ্ৰে তোমার বসন। পূর্ণ করিব;ভবানন্দ রায়মজুমদার অন্তঃকরণে যথেষ্ট আহ্নাদিত হইয়। বিবেচনা করিতে লাগিলেন বুঝি কুল-লক্ষ্মীরকুপ হইল। রাজ মনসিংহ জয়ী হইয়; আসিতেছেন, এষ্ট সংবাদ পাইয়া বাদসহ অত্যন্ত তুষ্ট হইয়। ভঁহিকে রাজ প্রসাদ দিবেন তাহার আয়োজন করিত্রে অজ্ঞ করিলেন ; প্রধান মন্ত্রীরা সমগ্ৰী সংগ্র করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । ভবানন্দ রায় মজুমদারের বাটীতে এক অশ্চর্যা ঘটনা হইল। তাহার ব্রস্তান্ত এই ; বড়গাছি নামে এক গ্রাম আছে, তাহতে হরি হোড়ের বসতি, এই ব্যক্তি অতিশয় ধনবান, পুণ্যাত্মা, অত্যন্ত ধান্ধিক, লক্ষ্মী সৰ্ব্বদ স্তির হইয়। র্তাহার নিবাসে লসতি করেন, বহুকাল এই রূপে গত হয় ; হরি হোড়ের বিস্তর পরিবার হওয়াতে সৰ্ব্বদাই সংসারে বিবাদ উপস্থিত হইয়া থাকে, বাটীর মধ্যে হট্টের ন্যায় কোলাহল। লক্ষ্মী বিবেচনা করিলেন এ ব|টীতে আর তিষ্ঠান গেল না ; অতএব আমার পরম ভক্ত ভবানন্দ মজুমদারের বাটীতে গমন করি, এই স্থির করিয়া হরি হোড়ের বাটী হইভে ভবানন্দ মজুমদারের বাটীতে চলিলেন। পথের মধ্যে স্মরণ হইল নদীর নিকট ঈশ্বরী পাটনী আছে, সে আমার অনেক তপস্যা করিয়াছে,