পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৬৫ রিবেন, যদি তাহাদিগের ব্যবস্থাতে শরণাগতকে ত্যাগ করা যায় ; তবে আমি এই দণ্ডেই রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসকে ত্যাগ করিব । আর এ রাজা পূৰ্ব্বে হিন্দুদিগের ছিল ; আপনার নিকটে অনেক অনেক হিন্দু কৰ্ম্মচারি অাছে, তাহার। অবশ্য আপন আপন শাস্ত্র জ্ঞাত আছে। হিন্দু শাস্ত্রে শরণাগত পরিত্যাগ উৎকট পাপ বলিয়। ব্যাখ্যাত আছে, আমি প্রাচীন ইতিহাস হইতে এবিষয়ের একটি মুন্দর দৃষ্টান্ত দিতেছি, অবহিত চিত্তে শ্রবণ করুন । পুরা কালে দণ্ডী নামে এক রাজ রাজ্য করিতেন। তিনি অতিশয় মৃগয়াসক্ত ছিলেন। এক দিবস মহারাজ মৃগয়ার্থ যাত্র করিলেন ; সসৈন্যে বন প্রবেশ করিয়া নিবিড় অরণ্যানী মধ্যে মৃগ অন্বেষণ করতঃ ইতস্ততঃ ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন । সহসা এক চঞ্চল প্রকুতি মনোহর অশ্বিনী র্তাহার নয়ন পথে পতিত হইল। রাজা এরূপ মুগঠন তুরঙ্গিনী দর্শনে সাতিশয় আনন্দ লাভ করিলেন এবং অনুচর দিগকে সেই বাজিনী ধরিতে অনুমতি করিলেন । অনুমতানুসারে সৈন্যগণ তখনি সেই ঘোটকীকে ধরিল। মহারাজ শীকার লইয়া রাজধানী গমন করিলেন । অশ্বিনী, দিবসে ঘোটকী ও রাত্রি কালে এক পরমানুন্দরী কন্যা হয়। ক্রমে ক্রমে এই আশ্চর্যা