পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৬ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। রত্তান্ত রাজার কর্ণগোচর হইল। দণ্ডী রাজা অশ্বিনীর এরূপ বিরুদ্ধ প্রকৃতি পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধান দ্বারা কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না । এক দিবস রজনী যোগে অশ্বিনীকে কন্য রূপ ধারণ করিতে দেথিবীমাত্র অমনি ভাহীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তুমি কে ? কিনিমিত্তেই বা তোমার এরূপ আকার ভেদ হয় ? সত্য করিয়া বল। কন্য। উত্তর করিল মহারাজ ! আমার পরিচয় শ্রবণ করুন। আমি স্বৰ্গ-নর্তকী ছিলাম, এক দিবস ইন্দ্রের সভায় নৃত্য করিতেছিলাম, হঠাৎ অন্যমনস্ক হওয়াতে তাল ভঙ্গ হইল ; দেবাfথপতি ইন্দ্রদেব এই অপরাধে আমার প্রতি ক্রোধান্বিত হইলেন এবং এই শাপ দিলেন যে তুমি অশ্বযোনি প্রাপ্ত হইয়৷ মর্ত্য লোকে বন মধ্যে মৃত্য কর। আমি বিস্তর অনুনয় বিনয় করিলাম , পরিশেষে অমরপতি অনুকুল হইয়া আমাকে এই বর দিলেন যে, তুমি রজনীতে কন্যা হইবার পরে অতি প্রতাপান্বিত দণ্ডী রাজা তোমাকে ধরিবেন এবং তৎপরেই তুমি শাপ মুক্ত হইবে। দণ্ডী রাজা এই অপুৰ্ব্ব বিবরণ প্রবণ করিয়া অশ্বিনীকে পূৰ্ব্বাপেক্ষ অধিকতর স্নেহ ও প্রীতি পুৰ্ব্বক রক্ষণাপেক্ষণ করিতে লাগিলেন । এদিকে দণ্ডী রাজার অশ্বিনী লাভ বার্তা সবর্ণক্র প্রচারিত হইল। দ্বারকাধিপত্তি গ্রীকৃষ্ণ এই