পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৬৭ অপূৰ্ব্ব ঘোটকীকে গ্ৰহণার্থ লোলুপ হইলেন এবং দণ্ডী রাজর নিকট নিজাভিলাষ ব্যক্ত করিলেন। " রাজা কোন মতে তুরঙ্গ দানে সম্মত হইলেন না; পরিশেষে যুদ্ধারম্ভ হইল। দণ্ডী রাজা শ্ৰীকৃষ্ণের রণ সজ্জ। প্রবণ করিয়৷ ভীত হইলেন এবং পাগু-কুলতিলক প্রভূত-বীৰ্য্যবান ভীমের আশ্রয় লইলেন । ভীম আশ্বাসদিয়া দণ্ডী রাজাকে অশ্বিনীসহ আপন গৃহে রাখিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ দেখিলেন যে, তাহার বিপক্ষ ভীমের নিকটে রহিয়াছে ; অতএব অশ্বিনীসহ দণ্ডী রাজাকে সমৰ্পণার্থে জীমের নিকটে দ্বত প্রেরণ করিলেন। দৃত মুখে স্ত্রীকৃষ্ণের অভিলাষ শ্রবণ করিয়া ভীম বিষম সঙ্কটে পড়িলেন । এদিকে শরণাগত রক্ষা, আর দিকে চির-সুহৃদের কোপাগ্নি। আশ্রিত জনকে ত্যাগ করিয়! জীবন ধারণ করা কাপুরুষের কৰ্ম্ম। পক্ষান্তরে শ্ৰীকৃষ্ণের কোপাগ্নিতে পভিত হইলে প্রাণ সংশয় সন্দেহ নাই । সে যাহা হউক অধৰ্ম্ম সঞ্চয় করিয়া জীবিত থাকা অপেক্ষ যুদ্ধে মরণই শ্রেয়ঃ । এই বিবেচন। করিয়া ভীমসেন শ্ৰীকৃষ্ণের দৃভকে বিদায় করিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণ আপনাকে অপমানিত জ্ঞানে পাণ্ডব বিপক্ষে যুদ্ধ যাত্রা করিলেন। ভীম পুৰ্ব্বাপর সমস্ত বিষয় আপন সহোদর দিগকে জ্ঞাত করিলেন, যুধিষ্ঠির প্রভৃতি সকলে একত্রিত হইয়া ব্লণমুখী হইলেন।