পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৮ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিভ। পঞ্চ পাণ্ডবের রণবেস দেখিয়৷ শ্ৰীকৃষ্ণ কহিলেন, ' তোমর। অতি অকৃতজ্ঞ ; আমার চির আশ্রিত হইয়। এক্ষণে দণ্ডী রাজার জন্য আমার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছ। পাণ্ডব ভ্রাতার উত্তর করিলেন হা সত্য বটে ; কিন্তু শরণাগত জনকে প্রাণ পণে রক্ষা করিবে ইহাও শাস্ত্র ও ধর্মের প্রবল অনুমতি । শ্ৰীকৃষ্ণ শুনিয়। হাস্য করিলেন এবং কহিলেন ভ্রাতঃ যুধিষ্ঠির ! তোমরা যথার্থ পুণ্যাত্মা ও ধৰ্ম্ম পরায়ণ। আমি তোমাদিগের সাহসও ধৰ্ম্ম পরীক্ষা করিবার জন্য এরূপ কৌশল করিয়াছিলাম । যাহা হউক তোমাদিগের ধৰ্ম্ম-নিষ্ঠ দেখিয় আমি প্রীত হইয়াছি। ইহা কহিয়৷ গ্ৰীকৃষ্ণ আপন বাটতে গমন করিলেন এবং অশ্বিনীও শাপমুক্ত হইয়। বিদ্যাধরী বেশে স্বস্থানে প্রতি গমন করিল। ভ্রাতঃ সেরাজদৌলা ! দেখুন হিন্তু শাস্ত্রে শরণাগত ত্যাগ কতদূর বিগর্হিত ও ধৰ্ম্ম বিরুদ্ধ ; আমাদিগের শাস্ত্রেও শরণাগতকে ত্যাগ করায় ষথেষ্ট নিষেধ আছে, তথাপি বার বার লিখিতেছেন ; আপনি এদেশের কর্তা, আপন নিকটে সকল জাতীয় মনুষ্য আছে, বরং সকলকে জিজ্ঞাসা করিবেন । বিশেষতঃ আমাদিগের পণ, প্রাণ সত্বে শরণাগত ব্যক্তিকে ত্যাগ করিব না; অতএব রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসকে পশ্চাৎ কৌশল ক্রমে আপনকার নিকট পাঠাইব । এইক্ষণে আ