পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭• মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। আত্ম শিষ্টাচারের পর লিখিলেন। আপনার পত্র পাইয়া সকল সমাচার জ্ঞাত হইলাম আপনি অনেকানেক শাস্ত্র নিদর্শন দিয়াছেন, প্রাচীন ইতিহাস ঘটিত বিবিধ দৃষ্টান্ত ও দেখাইয়াছেন । এ সকল প্রমাণ বটে ; কিন্তু সৰ্ব্বত্রই রাজাদিগের এই পণ যে শরণাগত ত্যাগ করেন না, তাহার কারণ এই, রাজা যদি শরণাগত ত্যাগ করেন, তবে রাজ্যের বিস্তৃতি হয় না এবং পরাক্রমেরও ক্রটি হয়। আপনি রাজা নহেন, ব্যবসায়ী সামান্য বণিক মাত্র ; ইহাতে রাজার ন্যায় ব্যবহার কেন ? অতএব যদি রাজা রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসকে এখানে শীঘ্ৰ পাঠান, তবে ভালই, নতুবা আমি আপনার সহিত যুদ্ধ করিব ; আপনি যুদ্ধ সজ্জা করিবেন। আর যদি যুদ্ধ না করেন, তবে পুৰ্ব্বে যে নিয়মিত রাজ কর অাছে এইক্ষণে তাহাই দিবেন, অামি আপন কৰ্ম্মচারী গণকে আদেশ করিলাম তাহারা গ্রহণ করিবে । শ্ৰীযুত কোম্পানির নামে ষে ক্রয় বিক্রয় হইবেক তাহার এই নিয়ম রহিল । অপর যত সাহেব লোকেরা বাণিজ্য করিতেছেন, র্তাহাদিগের নিকট হইতে অধিক রাজকর লইব । আমার এই মাত্র উক্তি ; আপনি বিবেচক সৎ পরামর্শ করিয়া পত্রের উত্তর লিখিবেন । এই পত্র লিথিয় কলিকাতায় বড় সাহেবের নিকট পাঠাইলেন ।