পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত। ৭১ কুঠীর বড় সাহেব পত্রার্থজ্ঞাত হইয়া আপনার কৰ্ম্মচারিদিগকে সমুদায় অবগত করিলেন আর কহিলেন আমি রাজবল্লভ ও কৃষ্ণদাসকে কদাচ দিব না, অতএব বুঝি নবাবের সহিত আমার বিবাদ উপস্থিত হইল, কিন্তু নবাব দেশীধিকারী, র্তাহার সৈন্য অধিক, আমি মহাজন, ব্যবসায়ী ব্যক্তি, আমার সৈন্য নাই, ইহার উপায় কি ? তোমরা এ নগরে বাস করিয়া রহিয়াছ ; অতএব আপনাপন পরিবার সকল অন্য দেশে প্রেরণ কর, আর, যদি কিছু সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে পার তাহারও চেষ্ট পাও এবং নবাবের পত্রের উত্তর লেখ । ' এই রূপে উভয় পক্ষে অনেক বাক বিরোধ হইতে লাগিল। সেরাজদৌলা মন্ত্রী গণের নিশেখ ন শুনিয়া ক্রোধান্বিত চিত্তে যাবতীয় সৈন্য সঙ্গে করিয়া যুদ্ধের কারণ কলিকাতাভিমুখে যাত্র করিলেন । এদিকে কলিকাতার কুঠীর বড় সাহেব শুনিলেন যে নবাব সেরাজদৌলা সসৈন্যে যুদ্ধ করিতে আসিতেছেন, শুনিয়া আপনার যাবতীয় কৰ্ম্মচারিদিগকে আহ্বান করিয়া কহিলেন, তোমাদিগকে পুৰ্ব্বেই সকল বৃত্তান্ত কহিয়াছি, সংপ্রতি নবাৰ স সৈন্যে রণ করিতে আসিতেছেন, তোমর সকলে সাবধান থাক, এবং আমাকে আর