পাতা:মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিত.pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৪ মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের জীবন চরিভ । থাকে। তদনুসারে সকলে কার্য্য করিতে লাগিল । পরে নবাব সেরাজদৌল পলায়ন করিয়া যান, তিন দিবস অভূক্ত, অত্যন্ত ক্ষুধিত নদীর তটের নিকট এক ফকীরের আলয় দেখিয়া নৌকার কর্ণধারকে কহিলেন এই ফকীরের স্থান ; তুমি ফকীরকে বল, কিঞ্চিৎ খাদ্য সামগ্ৰী দাও এক জন মনুষ্য বড় ক্ষুধাৰ্ত্ত, কিঞ্চিৎ আহার করিবেক। ফকীর এই বাক্য শ্রবণ করিয়। নৌকার নিকট অসিয় দেখিল নবাব সেরাজদৌল অভ্যন্ত বিষঃ বদন । ফকীর সকল বৃত্তান্ত জ্ঞাত হইয়া বিবেচনা করিল, নবাব পলায়ন করিয়া যায় ইহাকে আমি থরিয়৷ দিব, আমাকে পূৰ্ব্বে যথেষ্ট নিগ্ৰহ করিয়াছিল, এইবার তাহার শোধ লইৰ , ইহাই মনে স্থির করিয়া করপুটে বলিল আমি আহারের দ্রব্য প্রস্তুত করি, আপনার সকলে ভোজন করিয়। প্রস্থান করুন । ফকীরের প্রিয় বাক্যে নবাব অভ্যন্ত তুষ্ট হইয়। ফকীরের বাটতে গমন করিলেন। ফকীর খাদ্য সামগ্রীর আয়োজন করিতে লাগিল এবং নিকটে নবাব মীর জাফরালি R চাকর ছিল তাহাকে সম্বাদ দিল য়ে, নবাব সেরাজদৌল। পলায়ন করিয়া যায়, তোমরা তাহাকে ধর। নবাব জাফরালি খার লোকে সম্বাদ পাইবামাত্র অনেকে একত্র হইয়। নবাব সেরাজদৌলাকে ধরিয়া মুরশিদাবাদে আনিল ।