পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ বোজরগ উমেদপুর পরগণ৷ ১৭৫৯ খ্ৰীষ্টাব্দে সাহজাদ আলি গছর, এলাহাবাদের শাসনকর্তা মহম্মদকুলী খণর সাহায্যে বিহার প্রদেশে অভিযান করেন । সিরাজের যে সমস্ত সৈনিক মীরজাফরের শাসনকালে কাৰ্য হইতে অপস্থত হইয়াছিল, তাহারা সুযোগ পাইয়া সম্রাট তনয়ের পক্ষাবলম্বন করিল। আলি গহুরের সৈন্ত পাটনার নিকটবর্তী হইলে, রামনারায়ণ অভ্যন্ত ভীত হইয়া মুরশিদাবাদে সাহায্য প্রার্থনা করিলেন এবং ইতিমধ্যে শত্র সৈন্ত্যের সহিত সন্ধির প্রস্তাব করিয়া কালক্ষয় করিতে লাগিলেন । মীরজাফর রামনারায়ণের সাহায্যাৰ্থ সৈন্ত প্রেরণ করিতে প্রথমতঃ অনিচ্ছক ছিলেন, কিন্তু আলি গছরের সহিত রামনারায়ণের সন্ধির প্রস্তাব চলিতেছে শুনিয়া তিনি সাতিশয় শঙ্কিত হইলেন, এবং অবিলেম্ব ক্লাইবের সমভিব্যাহারে মীরণকে সসৈন্তে পাটনা অভিমুখে প্রেরণ করিলেন । পথিমধ্যে মীরণ শুনিতে পাইলেন যে, খাদেম হাসন খাঁ স্বাধীনতার ভান করিয়া পূর্ণিয় প্রদেশ শাসন করিতেছেন। সুতরাং সমুচিত শিক্ষা দিবার অভিপ্রায়ে তিনি খাদেম হাসনকে তাহার সমীপে উপস্থিত হইবার নিমিত্ত আদেশ করিলেন। খাদেম হাসন মীরণ অপেক্ষ কম ধূৰ্ত্ত ছিলেন ন ; তিনি একাকী মীরণের সমীপে আগমন করা নিরাপদ নহে মনে করিয়া তথায় সসৈন্তে উপস্থিত হইলেন। ক্লাইব দে1.লন যে, এ সময় কোন গোলযোগ উপস্থিত হইলে বৃথা কালক্ষয় হইবে, সুতরাং তিনি মধ্যস্থ হইয়া উভয়ের বিবাদ মীমাংসা করিয়া দিয়া মীরণের সমভিব্যাহারে পাটনার দিকে অগ্রসর হইলেন।