পাতা:মহারাজ রাজবল্লভ সেন ও তৎসমকালবর্ত্তী বাঙ্গলার ইতিহাসের স্থূল স্থূল বিবরণ.djvu/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ জাহাঙ্গীর নগর মুসলমান বিজয়ের পূৰ্ব্বে বাঙ্গালা দেশ রাঢ়, বাগড়ি, বঙ্গ, বরেন্দ্র এবং মিথিলা এই পাচ প্রধান বিভাগে বিভক্ত ছিল। হুগলী নদীর পশ্চিম হইতে গঙ্গা নদীর দক্ষিণ প্রান্ত পৰ্য্যন্ত রাঢ় দেশ, গঙ্গানদীর উপকূল স্থলসমূহ বাগড়ি প্রদেশ, এই স্থলের পূৰ্ব্বভাগ বঙ্গদেশ, পদ্মানদীর উত্তর এবং করতোয় ও মহানন্দা নামক স্রোতস্বতীদ্বয়ের মধ্যবৰ্ত্তী স্থল বরেন্দ্র প্রদেশ এবং মহানন্দার পশ্চিম হইতে যাবতীয় স্থল মিথিলা নামে আখ্যাত। (১) সুপ্রসিদ্ধ সেনরাজবংশের রাজত্ব প্রথমতঃ বঙ্গদেশেই নিবদ্ধ ছিল এবং ক্রমে সমস্ত বাঙ্গালাদেশ তাহাদের করতলগত হইয়াছিল। বিক্রমপুরের অন্তর্গত রামপালনামক স্থান সেনরাজবংশের প্রথম রাজধানী । স্বনামখ্যাত বল্লাল সেন এখানে অবস্থান করিয়াই শাসনদণ্ড পরিচালন করিতেন। বল্লালপুত্র লক্ষ্মণসেন সিংহাসনে আরোহণ করিয়া লক্ষ্মণবর্তীতে রাজধানী স্থানান্তর করেন। মুসলমান বিজয়ের প্রাক্কালে নবদ্বীপে সেনরাজবংশের রাজধানী ছিল । পাঠান সম্রাটগণের শাসনকালের প্রথমভাগে বাঙ্গালাদেশের প্রতিনিধি শাসনকর্তা “লক্ষ্মণাবতী” অথবা “গোঁড়” নগরে অবস্থান করিতেন। পাঠান সম্রাট আলাউদ্দিন বাঙ্গালাদেশ দুইভাগে বিভক্ত করেন। ঐ সময় একভাগের রাজধানী সোণারগার ও অপর ভাগের রাজধানী গৌড়নগরে সংস্থাপিত হয়। ফকরউদ্দিন দিল্লির অধীনতাপাশ ছিন্ন করিয়া বাঙ্গালার স্বাধীন নৃপতি (>) English Translation of Riyazo-s-salatin by Maulvy Abdus Salem, M. A. Fasciculus 1 Page 47. - wo)