পাতা:মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবন-চরিত - যোগীন্দ্রনাথ বসু.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 8 জীবন-চরিত । ন্যায়, মধুসুদনও আহারের জন্য গৃহে আসিতেন। তাহার পুত্ৰবৎসল৷ জননী, তাহার জন্য নানা প্ৰকার উপাদেয় খাদ্য প্ৰস্তুত করাইয়া, অপেক্ষা করিয়া থাকিতেন। মধুসুদনকে, সম্মুখে বসাইয়া, স্বহস্তে, আচার না করাইলে তাহার তৃপ্তি হইত না । কিন্তু আহার করাইতে একটু বিলম্ব হইলে মধুসুদন অস্থির হইতেন। তাহার সমবয়স্ক বাটীর অপরাপর বালকেরা, আহার করিতে বসিয়া, আহাৰ্য্য বস্তুর জন্য, যখন চীৎকার ও কোলাহল কবিত, মধুসূদন, সেই সময়, শীঘ্র শীঘ্ৰ কোনৰূপে আহার সম্পন্ন করিয়া, এক এক দিন, হয়ত, অসিদ্ধ ব্যঞ্জন পৰ্যন্ত আহার করিয়া, সকলের অগ্ৰে গিয়া পাঠশালায় বসিতেন । পাঠশালার ছাত্রদিগের মপ্যে। কিসে। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ হইলেন, ইহাই তাহাৰ প্ৰধান চিন্তার বিষয় ছিল । কি গ্রামস্থ গুরুমহাশয়েল পাঠশালায়, কি হিন্দু কলেজে, সহাপ্যায়িগণের মপ্যে। কেহ তাহাকে লেখা পড়ায় অতিক্ৰম করিবে, ইহা তিনি কিছুতেই সহ্য করিতে পারিতেন না । উচ্চাভিলাষই মহত্ত্বের ভিত্তিভূমি। উচ্চাকাঙ্ক্ষা ব্যতীত জ্ঞান, ধৰ্ম্ম, অর্থ কোন বিষয়েই মনুষ্য শ্রেষ্ঠতলাভে সমর্থ হয় না । মহত্ত্ববীজ এই উচ্চাভিলাষ, বালা হইতেই, মধুসূদনের প্রকৃতিতে লক্ষিত হইত। সমকালবািন্ত্ৰী লেখকগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হইব, পূর্ণ বয়সে ইহাই তাহার আকাজক্ষা হইয়াছিল, এবং যতদিন না। তাহার সে আকাজক্ষা পরিতৃপ্ত হইয়াছিল, ততদিন তিনি নিরস্ত হন নাই । তাহার বালোর উচাভিলাষ তাহার জননীর প্রদত্ত উৎসাহ-বাকো এবং তাহার পিতার আদর্শে সম্যক পুষ্টিলাভ করিয়াছিল। তাহার জননী অতি সন্ত্রান্ত গৃহের দুহিতা ছিলেন । পিতৃকুলের সন্ত্রমে এবং কৃতী স্বামীর ও প্ৰতিভাবান পুত্রের গৌরবে: তিনি আপনাকে গৌরবান্বিত মনে করিতেন। সাধারণ নারীগণের ন্যায় অকিঞ্চিৎকর প্রবৃত্তি র্তাহার হৃদয়ে স্থান প্ৰাপ্ত হইত না । 7फ्रांडिळांश ७ विाळूब्रभं ।