পাতা:মানবজাতির স্বত্ব এবং দায়ীত্ব ও বাঙ্গালীজাতির সেই দায়ীত্ব পালন.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( २२ ), নতুবা পশু। আশ্বধিকার-আত্ম অপমান বোধ না জন্মিণে, সেই গু"তাব বদলে গুতা দিতে শিখিব না , পশু ভিন্ন এ জগতে কাহাব আত্মধিক্কার এবং আত্ম-অপমান বোধ নাই ? আবাৰ যতই আমবা বিলাতী সভ্যতা—বিলাতী বিলাসিতার অনুসরণ কবিতেছি, ততই দুৰ্ব্বল, ততই দেহ ভগ্ন রুগ্ন হইয়া যাইতেছে। ততই আমাদেব মধ্যে অকালমৃত্যু প্রবল হইতেছে । যে জাতি যতই বিলাসী, সেই জাতির পতন ততই নিকটবৰ্ত্তাঁ । ইংবাজের দ্যাব প্রবল মানসিক শ্রম কবিতে শিখিবাছি, কিন্তু শাৰীরিক শ্রন কবিতে শিখি নাই । সেইজন্য চিন্তাশীল কৃষ্ণদাসেব অকালমৃত্যু, সেই জন্যই চিন্তাশীল কেশবচন্দেৰ অ কালে স্বর্গাবোহণ, সেই জন্য দ্বাককান্নাথমিত্রের অকালে পরলোক প্রাপ্তি । সেইজন্যই বিশ্ববিদ্যালয়েৰ উপাধিধাৰীদিগের মধ্যে অধিকাংশে বই যৌবনে জরা দেখা যায় । মানসিক শ্রমের সঙ্গে সঙ্গে যদি আমবা শাবীবিক শ্রম কবিতে শিখি তাম, তাহ হটলে জননী বঙ্গভূমি অকালে উপযুক্ত পুত্রহীন হইতেন না । আমরা ইংবাজের সদগুণগুলি লইতে শিখি নাই, মন্দ গুলি লইতেই জামাদিগেব বাবু এবং বিবিদের যত্ন । শারীরিক শ্রমটা বাস্তবিকই আমৰ দৰোমান আৰ কুলীর পক্ষে দরকাৰ জ্ঞান করি। বৃদ্ধ মন্ত্রী গ্লাডষ্টোন, তিনি সাতত্তি রে বুড়ো, ' তিনি কেন কুঠার লইয়া বাগনের বড় বড় গাছ কাটেন ?— কেন ? -র্তাহার উদ্যানে কি মালী নাই ? বৃদ্ধ গ্লাডষ্টোন