পাতা:মানবজাতির স্বত্ব এবং দায়ীত্ব ও বাঙ্গালীজাতির সেই দায়ীত্ব পালন.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8 ) চক্ষে এই অনন্ত বিশ্বের প্রতি-অনন্ত বিশ্বের প্রত্যেক দৃশ্য, মান পদার্থের প্রতি দৃষ্টি দিতেছেন , ব্যবচ্ছেদ, বিশ্লেষণ দ্বারা প্রকৃতিকে – প্রত্যেক পদার্থকে তন্ন তন্ন-খণ্ড' বিখণ্ড-ছিন্ন বিচ্ছিন্ন-চুর্ণ বিচূর্ণ কবিয়া, পাইয়াছেন কেবল পরমাণু পরমাণুর পর এপর্য্যন্ত আর কিছুই পান নাই। সমস্ত খুজিয়া , পাতিয়া এত শ্রমেব পর পরমাণু কি, কোথা হইতে আসিল, কে জানিল, কে স্বষ্টি কবিল, কিসে হইল, ইহা সিদ্ধান্ত কবিতে এখনও পারেন নাই। কোন পদার্থেই তাহারা সৌন্দর্য্য দেখিতে পান না । কোন পদার্থেই তাহারা মহান মহেশের সেই প্রেমমাখা মুখখনি – সেই মহান জলস্তজ্যোতিঃ দেখিতে পান না । কেবল দেখেন-অজ্ঞাত—অজ্ঞেয় শলি । কিন্তু কালাইল প্রভৃতির ন্যায় প্রচীন এবং আধুনিক ঋষিগণ যোগের চক্ষে জগতের প্রতি দৃষ্ট দেন, আধ্যাত্মিক প্রেমপূর্ণ জ্ঞানবলে দৃশ্যমান প্রত্যেক পদার্থের মধ্যে—এমন কি সামান্ত ধূলিকণার ভিতবেও তাহারা অভ্ৰভেদী হিমালয় অপেক্ষাও মহান ভাব – মহান শক্তি দেখিতে পান। শাবদীয় নিৰ্ম্মল নীলিম নৈশাকাশে পূর্ণচন্দ্র প্রাণ খুলিয়। হালিতেছে, সেই হাসির সঙ্গে নক্ষত্ররাজি হাসিতেছে, ভূধর হাসিতেছে, সাগর হালিতেছে, সমগ্র স্বাক্ট হাসিতেছে, অনন্ত কিরণবাজি হাসিয়া, হাসিয়া অনন্ত বিশ্বে গড়াইয় পড়িতেছে, কালাইলের ন্যায় ঋষি-ঈশ্বরপ্রেমিক সাধু সেই ছাসির সঙ্গে সঙ্গে প্রাণে প্রাণে হালিতেছেন—সেই স্বগীয় হাসির তরঙ্গ তাহার প্রাণে প্রাণে