পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि Gहांवली সুধীর রাগিয়া বলিল, “কি বললে ? আমি দেখেছি ? দেখেও চুপ মেরে আছি ? আমি মিথুকি ? বড়বাবু নিজে এসে-” হয় তো একটা কলহ বাধিয়া যাইত দু’জনের মধ্যে যশোদা আসিয়া পড়ায় সেটা আর ঘাটতে পারিল না । যশোদা রাগ করিয়া সুধীরকে বলিল, “কাজে যাও তো তুমি । কেমন ধারা মানুষ তুমি, রোগ মানুষটার সঙ্গে ঝগড়া করছি ? যাও, এখুনি চলে या७, qक कथा नग्र अश्व।' ধনঞ্জয়ের সঙ্গে সুধীরের কলহ হইয়া গেলেও বোধ হয় এর চেয়ে ভাল ছিল । সোজাসুজি কলহবিবাদের ঝােঝ কতক্ষণ মানুষের মনে থাকে ? যশোদা আসিয়া এমন করিয়া বলায় সুধীরের মনে যে জাল। ধরিয়া গেল তার বাবা সহজে মিটিবার নয়। তার জন্য দরদ ছিল যশোদার মনে, ধনঞ্জয় আসিয়া সে দরদী গাফ করিয়াছিল। এখনও, ধনঞ্জয়ের ঠ্যাং কাটা যাওয়ার পরেও, এই ধনঞ্জয়কেই যশোদা দরদ করিবে ? সে তুচ্ছ হইয়া থাকিবে ? কেন এমন হইল ? কেন যশোদা তাকে আর পছন্দ করে না ? যশোদা ধনঞ্জয়ের সেবা করে, তাকে বাটিভরা দুধ খাওয়ায়, না বলিতে দরকার মত তাকে বিড়ি পৰ্যন্ত কিনিয়া দেয়। অসুখে বিসুখে আরও দু’ একজনকে এ বাড়ীতে সুধীর শয্যাগত হইয়া থাকিতে দেখিয়াছে, সে নিজেও একবার অসুখে ভুগিয়াছিল, তখন যশোদা যেমন সেবা করিয়াছিল ধনঞ্জয়ের সেবা করার সঙ্গে তার আকাশ পাতাল তফাৎ। অবশ্য সমস্ত কাজ যেন যশোদার কাছে তুচ্ছ হইয়া গিয়াছে, অন্য সকলের সুবিধা অসুবিধার জন্য তারা যেন আগের মত ভাবনা নাই, ধনঞ্জয়ের সুখ-সুবিধার ব্যবস্থা করাটাই যেন তার এখন একমাত্র কর্তব্য, সব সময় সে যেন কেবল ধনঞ্জয়ের কথাই ভাবে, ধনঞ্জয়ের ডাক শুনিবার জন্য উৎকৰ্ণ হইয়া থাকে। অন্ততঃ দেখিয়া শুনিয়া সুধীরের তাই মনে হয়। দেখাশোনাটা সারাদিন চলে না, সুধীরকে কাজে যাইতে হয়। কিন্তু কল্পনা তো আছে সুধীরের, কাজে যাওয়ার আগে আর কাজে যাওয়ার পরে সে যতটুকু দেখে আর শোনে, ওয়াগনে মাল বােঝাই দিতে দিতে তারই ভিত্তিতে সে অহৰ্নিশি যশোদার আত্মবিস্মৃত সেবাঁধত্বের এমন কল্পনা গড়িয়া তোলে ৰে সত্য সত্যই সেই অনুপাতে ধনঞ্জয়ের সেবা করিয়া থাকিলে দু’চার দিনের VOoby.