পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৩০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণিক গ্ৰন্থাবলী সকলে ভাবিয়াছিল। পরদিন যশোদা বোধ হয় তাকে দূর দূর করিয়া তাড়াইয়া দিবে। কিন্তু যশোদা কিছুই বলিল না। বলার খুব বেশী সুযোগও সে পাইল না, কারণ পরদিন কারও কাছে কিছু না বলিয়া সুধীর উধাও হইয়া গেল । ফিরিয়া আসিল তিন দিন পরে । তখনও যশোদা তাকে কিছুই বলিল না । কদিন বাহিরে ঘুরিয়া আসিয়া সুধীরের বোধ হয়। হাওয়া পরিবর্তনের কাজ হইয়াছিল, সেই সঙ্গে মতেরও বোধ হয় পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। চোরের মত পলাইয়া গিয়াছিল যশোদার ভয়ে, ফিরিয়া আসিল যেন লাটসাহেব হইয়া । ভয় নাই, অনুতাপ নাই, মুখ ভার করিয়া থাকা নাই, এ জগতে কাউকে সে গ্ৰন্থও করে না । কৈফিয়ৎ হিসাবে নয়, নেহাৎ যেন দয়া করিয়াই যশোদাকে হঠাৎ উধাও হওয়ার কারণটা জানাইয়া দিল । “মনটা ভাল ছিল না চাদের মা, তাই একবার একটু ঘুরে এলাম।” যশোদা বলিল “বেশ করেছি। রাজেনকে বলে দিয়েছি, এবার কিছু বলবে না, আর কিন্তু এরকম পাগলামী কোরো না কখনো ।” “তোমার জন্যেই তো । তুমি আমার সঙ্গে ওরকম কর কেন ?? যশোদা কথা বলে না । সুধীরের সম্বন্ধে কি করা দরকার এখনও সে ঠিক कत्रिंश ऐठेि८ङ •ांद्र बांझे । সুধীর বলিতে থাকে, ‘জানো চাদের মা, সেই যে সেদিন তুমি মুখে বললে আমি ভাত পাব না, কিন্তু পাছে ভাতটি না খেয়ে যাই তাই জন্যে নিজে তাড়াতাড়ি বাড়ী ছেড়ে চলে গেলে, সেদিন টের পেয়েছি সংসারে টাকা বল, রূপ-যৈবন বল, দরদ ছাড়া সুখ নেই মানুষের।” যশোদা রীতিমত বিব্রত হইয়া বলে, “অ ! সেদিন টের পেয়েছি।” আবেগের মাথায় সুধীর বলিয়া বসে, “তুমি বললে তোমার জন্যে আমি প্ৰাণ দিতে পাৱি চাদের মা ।” “প্ৰাণ তোমাকে দিতে হবে না, নদের চাদের বৌটা জ্বরে ভুগছে, ওকে একটু ওষুদ « ټqta۹ wfis fifRی ۔ খানিক পরে খবর আনিতে গিয়া যশোদা দেখিল ঔষধ আনা হইয়াছে কিন্তু খঞ্জণ্ডিয়ানো হয় নাই। বিছানায় চাপার মা কেঁকাইতেছে, ঘরের কোণে চাপা আর ve