পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী.pdf/৫১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भांकि यहांबत्रौ অক্ষমতার জন্য শুধু আমাকেই বরং আমি খোঁচা দিয়েছি। নিন্দ করেছি, “প্ৰগতি লেখক সংঘের সম্পাদক ও সম্মেলনের কার্যকরী সভাপতি’কে [পরিচয়, পৌষ, পৃঃ ৪৫ ] । ইস্তাহার পুনলিখন কমিটির সভার বিবরণ স্মরণ আছে, কিন্তু আমিই যে ছিলাম সংঘের সম্পাদক ও সম্মেলনের কার্যকরী সভাপতি, সেটা আজ স্মরণ করিয়ে দিতে হচ্ছে সিতাংশুবাবুকে । ইস্তাহার পুনলিখন কমিটির উল্লেখ আমার প্রবন্ধে নেই। উল্লেখ করলে এ স্বীকৃতিও অবশ্যই থাকতো যে, আমিও ওই কমিটির সভ্য ছিলাম। ৫১ পৃষ্ঠায় [ পরিচয়, ফান্তুন সংখ্যা ] সিতাংশুবাবু লিখেছেন : “মানিকবাবুকে আশ্বাস দিচ্ছি। তাকে শ্রমিক হতে হবে না, কেননা শ্রমিক হলেই সাহিত্য লেখা যায় না ।।’’ শ্ৰেণী-সম্পর্ক, শ্রেণী-বিচূতি, শ্রেণী-সংগ্রামে অংশ গ্ৰহণ ইত্যাদি বিষয়ে আমি যা বলিনি। তাই আমার বক্তব্য বলে, এবং আমি যা বলেছি সেটা বিকৃত করে উপস্থিত করেছেন, তাই কি যথেষ্ট ছিল না ? এ ব্যক্তিগত মিথ্যা আক্রমণ কেন ? আমি শ্রমিক হতে অনিচ্ছুক, এ নির্লজ্জ ঘোষণা তো আমার লেখায় কোথাও নেই! আমার লেখায় বরং শ্রমিকশ্রেণীকেই যোল অ্যান বিপ্লবী, সেরা মানুষ বলে অভিনন্দিত করা হয়েছে। মার্কসবাদ লেনিনবাদ থেকে চয়ন করে নয়, সিতাংশুবাবু নিজে আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন। অথচ শ্রমিক শব্দের মানেই তিনি জানেন না । তাই তিনি নির্বিবাদে ঘোষণা করেছেন, জগতের শ্রমিকশ্রেণীর নেতা স্টালিনও শ্রমিক নন | বুঝতে পারা যায় যান্ত্রিক অনমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি সিতাংশুবাবুকে কোন ধাধায় ফেলেছে : কারখানায় না খেটে কি করে শ্রমিক হওয়া যায় ? শ্রমিক না হয়েও শ্রমিকশ্রেণীর নেতা হওয়া সম্ভব, যেমন স্টালিন, কিন্তু কারখানায় না খাটলে শ্রমিক হবে কোন যুক্তিতে ? সিতাংশুবাবু নিজেই এ সমস্যার সীমাংসা করতে পারেন। শ্রমিকশ্রেণীর বন্ধু আছেন, শ্রমিকশ্রেণীর স্বার্থ, সংগ্রাম ও চেতনা ষোল আনা নিজের করে নিয়ে শ্রমিকশ্রেণীর একজন হয়ে পড়ুন। দেখবেন, কারখানার মারফতে ছাড়া এভাবেও শ্রমিক হওয়া যায়-শ্রমিকশ্রেণীর একজন হওয়ার যুক্তিতে।