পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধরা-বাধা জীবন RS গাড়ীতে উঠিয়া অজিত জিজ্ঞাসা করিল, 'পছন্দ হল না ? একে যদি তোমার পছন্দ না -' “পছন্দ হয়েছে বৈ কি ৷” “হতেই হবে। এ শৰ্ম্মার আবিষ্কার তো।” “এমন সুন্দরী মেয়ে খুব কম দেখা যায়।”

  • ও বাবা, এর মধ্যে মজে গেছ ?”

‘মজবার কথা নয় ? টুকটুকে আঙ্গুল দিয়ে কখন পাকা চুল তুলে দেৰে ভেবে ধৈৰ্য্য ধরছে না তাই ।” "ও, তামাসা হচ্ছে । তারপর ? "তারপর আর কি । ওরা জিজ্ঞেস করলে বলে দিও, মেয়ে পছন্দ হয়েছে, কিন্তু পাত্র নেই। আমার তাইপো'টর বয়েস মোটে ন’বছর।” অজিত ক্রদ্ধ হইয়া বলিল, “আধাবুড়ী লেডী ডাক্তার ছাড়া তোমার পছন্দ হবে না জানলে ওদের কথা দিতাম না ।” “তাই উচিত ছিল।” । "তোমার মরণ ঘনিয়ে এসেছে বুঝতে পারছি। একটা কথা বলি শুনে রাখে। আমি এখনো মাঝে মাঝে এখানে ওখানে ফৰ্ত্তি করে রাত কাটাই, B DDBD S DBDB KKSgBD DBODDSBBDB DD কস্মিনকালেও থাকবে না। তার কারণটা কি জানো ? পারিবারিক জীবনে কতগুলি নিয়ম মেনে চলি, সুখী হতে হলে সব শালাকে যে নিয়ম মানতে হয় । আরো রাখে তোমার তর্ক, ওসব জানা আছে আমার । কোথায় কি খাটে সে জ্ঞান তোমার আদৌ নেই। একটা কথার জবাব দাও তো আমার, খাওয়ার অনিয়ম করলে ক'দিন তোমার পেট ঠিক থাকে ? বাড়ীর জীবনটা K DD gLD DBSBDO EEEL ELB চলে না । সংসারী হওয়ার জন্য বিয়ে করবে, ঘরে আনবে একটা ত্ৰিশ বছরের লেডী ডাক্তার । তার কোন মানে হয় ? অন্য উদ্দেশ্যে বিয়ে করলে কোন কথা ছিল না। প্ৰথম সংসার সুরু করলেও নয় বুঝতে পারতাম যাকে নিয়ে যেমন সংসার হোক খাপ খেয়ে যাবে। আনতে চাইছ নম্ভর মার যায়গায় আরেকজনকে, ষাকে আনিছ তিনি একদম অন্য রকম। ব্যাপারটা কি দাড়াবে ভেবে QCelta t' ভূপেন কথা না বলায় অজিত একটু নরম গলায় বলিল, “প্রভার নিন্দে করছি না ভাই। ত্রিশ বছর বয়স হয়েছে, ডাক্তারি করে, সেটা দোষের কথা নয়, আমার পিসীয় বয়স সাতচল্লিশ, তিনিও লেডী ডাক্তার। তবে যে যা, সে তা । তার তো কোন উপায় নেই। তোমাদের বনবে না, এই হল আসল কথা।” বাড়ী ফিরিতেই স্বর্ণ সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করে, “কেমন দেখলে ঠাকুরপো মেয়েটাকে ? ওকে দেখলে আমার কান্না আসে ঠাকুরপো ।” 'कांझा चांग ?' “আমার তো জানাশোনা, আমি জানি । ওর চালচলন কথাবাৰ্ত্তা সব যেন তার মত, স্বভাবটি পৰ্য্যন্ত । কোথায় পেল কে জানে ৷” দেখিতে সারমার মত নয়, সে রকম হওয়া এ জগতে কোন মেয়ের পক্ষেই সম্ভব নয়, তবে চালচলন, কথাবাৰ্ত্তা, স্বভাব, সব সারমর মত । ভূপেন আশ্চৰ্য্য হইয়া যায়। প্ৰভাকে বিবাহ করার কথা ভাবা যায়। কিন্তু সরমার বিনিময়ে তাকে বাড়ীতে আনিবার কথা সত্যই কল্পনা করা যায় না। এই মেয়েটিকে কিন্তু সে ভাবে ভাব চলে । বাড়ীর সকলের সঙ্গে এক হইয়া যাইবে, খালি পায়ে নিঃশব্দে ঘরের কাজ করিয়া বেড়াইবে, খাটে গদির বিছানা থাকিতে দুপুরবেলা মেঝেতে আঁচল বিছাইয়া ঘুমাইবে, নিজেকে একেবারে লোপ করিয়া ধরা দিবে ঠিক সরমার মত। প্ৰভা নয়, ঠিক এই মেয়েটির পক্ষেই Cz टों (gद । "ঠাকুরপো, সে গিয়ে অবধি সবার বুক খালি, ঘর খালি। তার অভাব তো আর কাউকে দিয়ে পূর্ণ হবার নয়, তবু শাস্তিকে তুমি ঘরে আনো, আমাদের প্রাণ একটু হালকা হোক।” বৌদি ঘন ঘন চোখ মুছিতে থাকে। সন্ধ্যার পর ভূপেন প্ৰভাকে একবার ফোন করিল। প্রভার সঙ্গে কিছুক্ষণ কাটাইয়া আসিবার জন্য মনটা তার উতলা হইয়া উঠিয়াছিল। প্ৰসন্ন খবর দিল প্ৰভা বাড়ী নাই, সকালে দশটার সময় বাহির হইয়া গিয়াছে, এখনো ফেরে নাই । বিকালে বাড়ীতে প্ৰভা একবার ফোন করিয়া জানাইয়া দিয়াছে, কখন সে বাড়ী ফিরিতে পরিবে কিছুই ঠিক নাই। একটা জরুরী কেসে সে আটকা পড়িয়া গিয়াছে। প্ৰসন্নার কাছে নম্বর জানিয়া ভূপেন রোগীর বাড়ীতে প্ৰভাকে ফোন করিল। প্ৰভা বলিল, “কি করে ফিরৰ ? রোগীর আমার এখন তখন অবস্থা। কি কষ্ট যে পাচ্ছে