পাতা:মানিক গ্রন্থাবলী (প্রথম খণ্ড).pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানিক-গ্ৰন্থাবলী দাওয়ায় ঠেস দিয়া কৰসিয়া তাহার প্রতীক্ষা করিতে করিতে নিয়মাধীন জীবনযাপন স্বভাবতই শুষ্ঠামার কাছে অবাস্তব হইয়া উঠিত,--বয়স তো তাহার বেশি ছিল না। সুতরাং রাখালকেও তাহার মনে হইত নিমমি, মনে হইত। লোকটা স্নেহ করে, কিন্তু স্নেহের প্রত্যাশা মিটায় না। শীতলের তখন নিজের একটা প্রেস ছিল, মন্দ আয় হইত না। তবু অভাব তাহার লাগিয়াই থাকিত । শীতলের মাথায় ছিট ছিল রকমারি, অর্থ সম্বন্ধে একটা বিকৃত উদাসীনতা ছিল তার মধ্যে সেরা । তাহার মনকে বিশ্লেষণ করিলে যোগাযোগ খুজিয়া পাওয়া যায় সন্দেহ নাই, কেবল, সে চেষ্টা করিবার মত অসাধারণ মানসিক বৈশিষ্ট ইহা নয়। টাকার প্রতি মমতার অভাবটা অনেকেই নানা উপায়ে ঘোষণা করিয়া থাকে। শীতলের উপায়টা ছিল বিকারগ্ৰস্ত-তাহা ভীরুতার ও দুর্বলতার বিষে বিষাক্ত । যেসব বেকার দল চিরকাল বুদ্ধিমানদের ভোজ দিয়া আসিয়াছে, সে ছিল তাদের রাজা । বন্ধুরা পিঠ চাপড়াইয়া তাহার মনকে গড়ের মাঠের সঙ্গে তুলনা করিত, তাই পাছে কেহ টের পায় যে, মন তাহার আসলে বড়বাজারের গলি, এই ভয়ে সর্বদা সে সন্ত্রস্ত হইয়া থাকিত। ফেরত পাইবে না জানিয়া টাকা ধার দিত সে, থিয়েটারের DBD DBD DBBBBD LBS SDD DD BDDDBBDBD DD DBB তাহারই পকেট হইতে। বিকালের দিকে প্রেসের ছোট আপিসটিতে হাসিমুখে সিগারেট টানিতে টানিতে দু-চার জন বন্ধুর আবির্ভাব হইলে ভয়ে তাহার মুখ কালো হইয়া যাইত। পাগলামি ছিল তার এইখানে। সে জানিত বোকা পাইয়া সকলে তাহার ঘাড় ভাঙ্গে, তবু, ঘাড় vstfucy, a fate Q stifive শেষে, শু্যামার বিবাহের প্রায় চার বছর পরে, শীতলের প্রেস বিক্রয় হইয়া গেল। আবোল-তাবোল যেমনি খরচ করুক, আয় ভাল থাকায় এতকাল মোটামুটি একরকম চলিয়া যাইত, প্রেস বিক্রয় হইয়া যাওয়ার পর তাহদের কষ্টের সীমা ছিল না। বাড়িটা পৈত্রিক না হইলে মাঝখানে কিছুদিনের জন্য হয়ত তাহদের গাছতলাই সারা করিতে হইত। এই অভাবের সময় শ্যামার মামার সম্পত্তি হইতে বঞ্চিত হওয়ার শোক শীতলের উথলিয়া উঠিয়াছিল, সব সময় শ্যামাকে কথার খোচা দিয়াই তাহার সাধ মিটিত না। 5tT 5 GIt 학t l C2 지l St সময় শু্যামার কোমরের কাছে ষে মস্ত ক্ষতের দাগটা দেখিয়া বুড়ী দাই আপশোষ করিয়াছিল এবং শুমা বলিয়াছিল ওটা ফোড়ার দাগ, ছড়ির ডগাতেও সেটা সৃষ্টি হয় নাই, BDB S LBBD DDB S g DB DD EDS S D দিয়া শীতল অবশ্য তাহাকে খোচায় নাই, পা দিয়া পিঠে একটা ঠেলা মারিয়াছিল। দুঃখের বিষয়, শ্যামা তখন কুটিতেছিল তারকারী। তরকারী সে আজো কোটে। সুখে-দুঃখে জীবনটা অমনি হইয়া গিয়াছে, সিদ্ধ করিবার চাল ও কুটিবার তরকারী থাকার মত চলনসই। অনেকদিন প্রেসের মালিক হইয়া থাকার গুণে একটা প্রেসের ম্যানেজারির চাকরী শীতল BDDDBDBD DBBD BDDS SLSS gKBBB D হওয়ার সময় শীতল এই চাকরীই করিতেছিল। বিবাহের সাত বছর পরে প্রথম ছেলে হওয়াটা খুব বেশি। BBBDBBD DK D BDDB BDDDBD DBDBD DDBD DBBB জীবনেই আসিয়া থাকে। শ্যামার যেন সব বিষয়েই বাড়াবাড়ি। প্ৰথম ছেলেকে প্রসব করিতে সে সময় লইল দুদিনের বেশি এবং এই দুটি দিন ভরিয়া বারবার মুছা গেল। শেষ মুছা ভাঙ্গিবার পর শ্যামা এক মহামুক্তির স্বাদ পাইয়াছিল। দেহে যেন তাহার উত্তাপ নাই, স্পন্দন নাই, সবগুলি ইন্দ্ৰিয় অবশ বিকল হইয়া গিয়াছে। সে বাতাসের মত হান্ধা। শীতকালের পুঞ্জীভূত কুয়াশার মত সে যেন আলগোছে পৃথিবীতে সংলগ্ন হইয়া আছে। তাহার সমগ্ৰ বিস্ময়কর অস্তিত্ব ব্যাপিয়া এক তরঙ্গায়িত স্তিমিত বেদনা, মৃদু অথচ অসহ্য, দুজ্ঞেয় অথচ চেতনাময়। একবার তাহার মনে হইল, সে বুঝি মরিয়া গিয়াছে, ব্যথা দিয়া ফাপানো এই শূন্যময় অবস্থাটি তাহার মৃত্যুরই পরবর্তী জীবন। ভোতা ক্লান্তিকর যাতনা তাহার অশরীরী আত্মার দুৰ্ভোগ । তারপর চোখ মেলিয়া প্ৰথমটা সে কিছুই বুঝিতে পারে নাই। চোখের সামনে সাদা দেয়ালে একটি শায়িত মানুষের ছায়া পড়িয়াছে। ছায়ার হাতখানেক উপরে জানালার একটা পাট অল্প একটু ফাক করা। ফাক দিয়া খানিকটা কালো আকাশ ও কতগুলি তারা দেখা যাইতেছে। একটা গরম ধোয়াটে গন্ধ শ্যামার নাকে লাগিয়াছিল। কাছেই কাদের কথা বলিবার মৃদু শব্দ। খানিকক্ষণ চাহিয়া থাকিবার পর দেয়ালের ছায়াটা তাহার নিজের বলিয়া চিনিতে পারিয়া সে একটু আশ্চর্য হইয়া গিয়াছিল। এমনভাবে সে শুইয়া আছে কেন ? তাহার কি হইয়াছে ? কাঠকয়লা পুড়িবার গন্ধ কিসের ? কথা বলিতেছে। কারা ? হঠাৎ সব কথাই শ্যামার মনে পড়িয়া গিয়াছিল। পাশ ফিরিতে গিয়া সর্বাঙ্গে বিদ্যুতের মত তীব্র একটা ব্যথা সঞ্চারিত হইয়া যাওয়ায় সে আবার দেহ শিথিল করিয়া নিয়াছিল। মনের প্রশ্নকে বিহািবলের মত উচ্চারণ করিয়াছিল এই অর্থহীন ভাষায় ৪ কোথায় গেল, কই ? কে যেন জবাব দিয়াছিল : এই যে বৌ এই যে, মুখ ফিরিয়ে তাকা হতভাগি । কাছে বসিয়াও অনেক দূর হইতে যে কথা বলিয়াছিল, সেই বোধ হয় খামার একখানা হাত তুলিয়া একটি কোমল স্পন্দনের উপর রাখিয়াছিল। জাগিয়া থাকিবার শক্তিটুকু শ্যামাব তখন ঝিমাইয়া আসিয়াছে। সে অতিকষ্টে একটু পাশ ফিরিয়াছিল।