আদায়ের ইতিহাস NOVO ক্রিটুপ মাথা নাড়িয়া ভিতরে চলিয়া গেল। মণীশ জিজ্ঞাসা করিল, “কেমন লাগল। তিন্ডু ? ক্রিষ্টপ বলিল, “কেমন যেন লাগিল মনিদা।” “কেমন লাগল বুঝতে পারছি না ? তার ‘মানে ভালও লাগেনি, খারাপও লাগেনি ।” “সব যেন কেমন খাপছাড়া মনে হল ।” মণীশ মাথা হেলাইয়া সায় দিয়া বলিল, “বোস, চা খাও।” ক্রিষ্টপ দ্বিধাভরে বলিল, “খালি পেটে- ” মণীশ হাসিল, “পেট খালি থাকবে কেন ? চপ খাও কাটলেট খাও, টেস্ট "খাও,-বাড়ীর খাবার না হলে কি তোমার পেট ভরে না ? মণীশের কাছে চিরদিন নিজেকে ত্ৰিষ্টপের ছেলেমানুষ মনে হয়, আজ আরও বেশী মনে হইতে লাগিল। একটু শ্ৰান্তিও সে বোধ করিতেছিল, শারিরীক নয়, মানসিক শ্ৰান্তি । সন্ধি হইয়া গিয়াছে, তবু সকালবেলায় লড়াই-এর জেরা যেন এখনও মেটে নাই, কেবলি মনে হইতেছে, সে যেন সন্ধি করিয়াছে হার মানার ভয়ে । কেমন একটা অনির্দিষ্ট ভাবে নিজেকে অপরাধী মনে করিতেছে । “থাক, দোকানের খাবার খেতে হবে না। তিষ্ট। আমার বাড়ীতে কিছু খাবে চল ।” “আপনার বাড়ীতে মণীশাদা ? খাবার-টাবার করার হাঙ্গামা- ? ‘হাঙ্গামা আর কিসের ? খাবার তৈরী হয়েই আছে, চা’টা শুধু করতে হবে।” शौर्भ ठटिश नाgाईल । -'qन।' মণীশের বাড়ী বেশ দূরে নয়, দু’চার বার ক্রিষ্টপ তার বাড়ীতে গিয়াছে। আগে কোনদিন মণীশ তাকে ভিতরে ডাকে নাই, আজ একেবারে দোতলায় তার । নিজের ঘরে নিয়া গেল। “বস তিষ্ট।” একটা রঙচটা কাঠের চেয়ারে বসিয়া ব্রিষ্টপ বিস্ময়ের সঙ্গে চারিদিকে চাহিতে লাগিল। এ ঘর যে মণীশের, তা যেন বিশ্বাস করা যায় না। যার মাথার একটি চুল সে কোনদিন স্থানভ্রষ্ট দেখে নাই, তার ঘরে এমন বিশৃঙ্খলা এমন দারিদ্র্যের ছাপ। টেবিলে আর টেবিলের নিচে বই গাদা করা, এক কোণায় জমা, করা কতকগুলি ইংরাজী বাংলা সাময়িক পত্রে ধূলা জমিয়া আছে, ট্রাঙ্কও সুটকেশটির রঙ বিবৰ্ণ, वांनि-(.*?)-७e
